চাঁদপুরে এক বছরে ৩৪ হাজার ৩২৬ টন ইলিশ ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে জেলার মাছের চাহিদা ছিল ৬৮ হাজার ৪৬৬ টন। ধরা পড়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৯০ টন। এ বছর ৪৭ হাজার ৬২৪ টন চাহিদার বেশি ইলিশ ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, চাঁদপুরের ইলিশের প্রতি সবার দৃষ্টি থাকে। সম্প্রতি অনলাইনে ইলিশ বিক্রিতে প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে অনেকে ফেসবুকে পেজ খুলে এ সুযোগ নিচ্ছেন। জেলার সুনাম রক্ষার জন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, আমাদের নদীতে শুধুমাত্র ইলিশই নয়, সবধরনের মাছের উৎপাদন হয়। খামারিরাও বহু ধরনের মাছ উৎপাদন করেন। তবে এ জেলার মানুষ নদীর মাছ খেতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেন। নানা কারণে নদীতে মাছের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলায় নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৪৭ হাজার ২৪৯ জন। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর ও বৈধ জাল বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে মেঘনা নদী উপকূলীয় মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলায় ৫০০ জেলেকে বকনা বাছুর, গ্রুপ করে ২৭৬ জন জেলেকে ৯২টি বৈধ সুতার জাল ও ৩৫০ জন সুফলভোগী জেলেকে তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এসময় চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুরের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন, সাংবাদিক আলম পলাশ, ফারুক আহম্মদ, মুহাম্মদ মাসুদ আলম, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক তছলিম বেপারি, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মালেক দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক দেওয়ান, মৎস্য খামারি মো. বিল্লাল হোসেন, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ প্রকল্প) এস এম মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।
শরীফুল ইসলাম/আরএইচ/এমএস