দেশজুড়ে

বগুড়ায় থানায় থানায় স্বল্প পরিসরে কাজ শুরু

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ কারণে বন্ধ হয়ে যায় বগুড়ার সব থানার কার্যক্রম। এছাড়া পুলিশ সদস্যরা ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। তারা জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।

এসব ঘটনার পর শুক্রবার বিকেলে থেকে বগুড়া জেলার ১২টি থানায় স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি থানায় নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। তবে এখনো সড়কে টহল দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।

এদিকে শনিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বগুড়া সদর থানা পরিদর্শন করেন মেজর জেনারেল মো. খালেদ আল-মামুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, বগুড়া পুলিশ সুপার জাকির হাসান, আনসার ভিডিপি জেলা কমান্ড্যান্ট শেখ ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ।

দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, এই থানায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে থেকে খুব সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে থানার বাইরের কার্যক্রমে এখনো অংশ নেয়নি পুলিশ।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, শেরপুর থানার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। তবে সড়কে টহলের কাজ বন্ধ।

বগুড়া সদর উপজেলার দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তা জানান, বগুড়া জেলার প্রত্যেক থানায় নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনা সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, বগুড়া সদর থানার সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় কাজ করার মতো পরিবেশ নেই। সে কারণে সদর থানার কার্যক্রম ডিবি কার্যালয়ে করা হচ্ছে। এছাড়া জেলার অন্যান্য থানায় স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলার ১২টি থানার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

জেডএইচ/এএসএম