খেলাধুলা

জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করা উচিত না

খেলোয়াড়রা কোনো দলের নয়। পুরো দেশের মানুষই তাদের পছন্দ করেন। কিন্তু সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজারা একটি দলের ব্যানারে গিয়ে রাজনীতি করে তাদের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন।

Advertisement

একটি দল হয়তো তাদের পক্ষে বলেছে, কিন্তু আরেক দলের সমর্থকরা সবসময়ই ছিলেন বিরুদ্ধে। ফলে তাদের সমর্থকরাও দুই ভাগ হয়ে গেছে।

এর মধ্যে দৃশ্যপটে এসেছে বড় পরিবর্তন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাদের নেতাকর্মীরা ভীষণ বিপাকে। বিপাকে সাকিব-মাশরাফিরাও।

মাশরাফির বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল বিক্ষোভকারী। নিরাপত্তা ইস্যুতে সাকিব দেশে ফিরবেন কি না, তা নিয়েও এখন ভীষণ অনিশ্চয়তা। এই পরিস্থিতি কি হতো, যদি তারা রাজনীতি থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতেন?

Advertisement

টাইগারদের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু মনে করেন, জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করাই উচিত না কোনো খেলোয়াড়ের।

লিপু বলেন, ‘যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, তা এগিয়ে যাবে। কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন না, এটা নিয়েও হয়তো কোনো সিদ্ধান্ত আসবে। কোনো রাজনৈতিক দলেরও কি উচিত কোনো রানিং খেলোয়াড়কে তাদের দলে নেওয়া।’

সাকিবকে নিয়ে যত বিতর্কই থাক, তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এখনও জাতীয় দলে তার প্রয়োজনীয়তা আছে। গত বছর থেকে চোখের সমস্যায় ভোগা সাকিবের ব্যাটিংয়ে কিছুটা সমস্যা দেখা গেছে।

তারপরও সাকিবের অলরাউন্ড সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন প্রধান নির্বাচক, ‘আমাদের চিকিৎসক দল থেকে এমন কিছু (চোখের সমস্যা) শুনিনি। বিশ্ব যেমন স্বীকার করছে, সে ওয়ান অব দ্য বেস্ট অলরাউন্ডার, গত ২৫ বছরে। আমি সেই মতামতের সঙ্গেই যাচ্ছি। শুধু বোলার হিসেবে ধরব, সেই দুঃসাহস আমার নেই।’

Advertisement

শুধু পাকিস্তান সিরিজ নয়, এ বছর বাংলাদেশ দলের ৮টি টেস্টই সাকিব খেলবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। তার কথা, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় তার কাছে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলাম। আমাদের অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ আছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত আটটা টেস্ট খেলব। সেখানে সে আমাদের আশ্বস্ত করেছে, সবগুলো টেস্ট খেলবে। প্রত্যেকটা সিরিজের আগে সব অনুশীলন সেশনে থাকবে।’

এমএমআর/এমএস