বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ আগস্ট (সোমবার) উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের খানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম সেলিম রাব্বানী কর্জন। তিনি উপজেলার দেবখন্ড রিয়াজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় সাত লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তার।
সেলিম রাব্বানী কার্জন জানান, ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী হাঁসুয়া, লাঠি, শাবল, রড ও হাতুড়ি নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। এরপর তারা টেলিভিশন, ঘরের আসবাবপত্র ও একটি বাইসাইকেল ভাঙচুর করে আঙিনায় এনে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। শোবার ঘরের আলমারি ভেঙে তার মায়ের চার ভরি গহনা ও নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ওই সময় তার স্ত্রী-সন্তান শ্বশুর বাড়িতে এবং তিনিসহ পরিবারের অন্যরা বাড়ির বাহিরে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। অভিযোগ দিতে পরদিন মঙ্গলবার থানায় যেতে চাইলেও পুলিশের কর্মবিরতির কারণে আর যাওয়া হয়নি।
স্থানীয় জানান, ওই শিক্ষকের বাবা মোকলেছার রহমান আওয়ামী লীগ করতেন। গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুর রহমান তার বাবাকে ভোট করতে বলেন। কিন্তু তার বাবা অন্য প্রার্থীর ভোট করায় ওই গ্রামে ফজলুর মামা শ্বশুরের ছেলেরা তার বাবাকে দেখিয়ে নেওয়ার হুমকিও দেন। ওই ক্ষোভের কারণে খানপুর গ্রামের সোহেল, বুলু (পিতা- মকবুল), মেহেদির (পিতা- আফছার) নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল এ হামলা চালায়।
তালোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক জানান, বিএনপির কোনো নেতাকর্মী বা সমর্থক তাদের বাড়িতে ভাঙচুরের জন্য যাননি। ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থীত কিছু লোক পূর্ব শত্রতার জেরে সুযোগ বুঝে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক।
তালোড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর শহীদুল্লাহ আকন্দ জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরের পর গ্রামবাসীদের ভাঙচুর করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু গ্রামের একদল দুর্বৃত্ত কথা না শুনে শিক্ষক কর্জনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। তাদের বাঁধা দিতে গিয়ে আমি নিজেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষকের বাড়িতে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটিতে বিষয়টি উত্থাপন করেছি। এ জন্য গ্রামের রাজনৈতিক এবং সচেতন মহল সজাগ আছি।
আরএইচ/এমএস