শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে অধ্যক্ষ নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ভবিষ্যতে মেডিকেল কলেজের কোনো শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টতা মিললে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মেডিকেলের শিক্ষার্থী শাহাদাৎ হোসেন মেহেদী বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাদের বেশিরভাগ দাবি মেনে নিয়েছে। আমরা চাই ক্যাম্পাসে যেন আর রাজনীতির কালো থাবা ফিরে না আসে। কলেজে একাডেমিকভাবে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গঠন করা হবে।’
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আকরামুজ্জামান (মিন্টু) বলেন, ছাত্রদের বৈষম্য সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা উঠেছিল। আমরা শিক্ষকরা তাদের এই দাবির বিরুদ্ধে নই। বরং ক্যাম্পাস রাজনীতিমুক্ত হলেই ছেলেরা তাদের পড়াশোনা পরিচালনা করতে পারবে।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের ৯৯.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে। ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আল মামুন সাগর/এসআর/জিকেএস