কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে আরও একটি মামলা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত ইউসুফের মেয়ে মোছা. সীমা কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন।
হামলায় নিহত ইউসুফ শেখ (৬৬) কুষ্টিয়া শহরের চর থানাপাড়া এলাকার মৃত এবাদত আলীর ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে চাকরি করতেন। ৫ আগস্ট দুপুরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়।
মামলায় হানিফের চাচাতো ভাই সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম, সহ-সভাপতি কুষ্টিয়া জজ কোটের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কোষাধ্যক্ষ অজয় সুরেকা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খানসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমার বাবা ইউসুফ শেখ কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে শহরের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে পৌঁছালে এজাহারনামীয় আসামিরা ধাওয়া করে। এরপর হানিফ ও তার চাচাতো ভাই আতার নির্দেশে আসামিরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী জানান, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আব্দুল্লাহ নামে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় মাহবুবউল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে।
আল-মামুন সাগর/আরএইচ/এএসএম