দেশজুড়ে

আখাউড়া বন্দরে যাত্রী পারাপার শুরু

হাওড়া নদীর পানি কমতে থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যা পরিস্থিতি প্রতিদিনই উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাওড়ার পানি কমেছে আরও সাত সেন্টিমিটার। ফলে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় পানি কমেছে দুই উপজেলাতেই। কসবায় কিছু সড়কে পানি থাকলেও বেশিরভাগ জায়গার বাড়ি-ঘর থেকে পানি সরে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পানি শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যার ক্ষত চিহ্ন বের হচ্ছে। আখাউড়ার কেন্দুয়াই, রাজেন্দ্রপুর, খলাপাড়া, ইটনা, আইড়ল, কর্নেল বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা যায়- বেশকিছু বাড়ি-ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে ডুবে যাওয়া জমি। তবে এসব জমিতে লাগানো বেশিরভাগ ধানের চারা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। একই অবস্থা কসবা উপজেলাতেও।।

পানি সরে যাওয়ায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বিকেল থেকে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। বন্যার কারণে যারা দুই দেশের সীমানায় আটকা পড়েছিলেনে তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে থাকলেও বিশেষ বিবেচনায় যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে গাজীর বাজার এলাকায় সেতু ভাঙা থাকায় সহসাই আমদানি-রপ্তানি চালু সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান জানান, হাওড়া নদীর পানি অব্যাহত হ্রাস পাচ্ছে। শনিবার দুপুর ৩টা হতে রোববার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পানি ৭ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৬১ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে কয়েকটি বাড়িতে জলাবদ্ধতা রয়েছে। জলবদ্ধতা নিরসনে চেষ্টা চলছে।

কসবার ইউএনও মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে। তবে কিছু সড়কে এখনো পানি রয়েছে। যে কারণে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে লোকজন এখনই বাড়ি ফিরছেন না।’

আবুল হাসনাত মো রাফি/এএইচ/জিকেএস