সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিশুশ্রম নিরসন তথা শিশু অধিকার সংরক্ষণে সকলকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও এ অবস্থিত এনএলজি কনফারেন্স হলে “শিশুশ্রম নিরসন ও শিশুসুরক্ষা” শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ আহবান জানান।ডেপুটি স্পিকার বলেন, কোন বাবা-মা চায়না তার শিশু সন্তানকে ঝুঁকিপূর্ণ কোন কাজে নিয়োজিত করতে কিন্তু নিষ্ঠুর বাস্তবতা তাদের বাধ্য করে। বাংলাদেশ সরকার শিশু শ্রম নিরসনের লক্ষ্যে জাতীয় শিশু শ্রম নিরসন নীতিমালা ২০১০ প্রণয়ন করেছে। নীতিমালাটি প্রচার, নীতিমালা বাস্তবায়নে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে এডভোকেসী ও লবিং করা হচ্ছে।তিনি বলেন, শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ/ওয়ার্কশপের মাধ্যমে সকল উপজেলার স্থানীয় এনজিও, সাংবাদিক, শিশু সুরক্ষা প্রতিরোধ কমিটি ও স্থানীয় সরকারের নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্যদের শিশু সুরক্ষা বিষয়ে সক্ষমতা উন্নয়ন করা উচিত। যাতে প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে পারে।ডেপুটি স্পিকার বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও শিশুশ্রম বিদ্যমান। যে বয়সে একটি শিশুর বই, খাতা, পেন্সিল নিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করার কথা সে বয়সে শিশুদেরকে জীবিকার সন্ধানে নেমে পড়তে হয়। সরকার আইন করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করলেও তার বাস্তবায়নের জন্য সকল সচেতন নাগরিক, মিডিয়া, এনজিও কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। সচেতনতামুলক সামাজিক অন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যাতে অসচেতন পিতা-মাতা তাদের সন্তানকে ঝুকিপূর্ণ শিশুশ্রমে বাধ্য না করে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০২১ এর ১ নম্বর লক্ষ্য- মানবাধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ৪ নম্বর লক্ষ্য- সকল শিশুর বেঁচে থাকা ও সুস্থ্য বিকাশ, ৫ নম্বর লক্ষ্যে সকলের শিক্ষা ও মাধ্যমিক স্তরের শিশুদের জন্য ভোকেশনাল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং ৮ নম্বর লক্ষ্যে-সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য নিরাপত্তা বলয় তৈরির অঙ্গীকার করা হয়েছে।তিনি বলেন, সরকারের ২০২১ বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায জাতির ভবিষ্যত সম্ভাবনার মুকুলকে অঙ্কুরে বিনাশ হওয়া থেকে রক্ষা করতে সকল সুশীল সমাজ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।ভার্ক এর নির্বাহি পরিচালক শেখ আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বেগম রোকেয়া হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভার্ক এর কো-অর্ডিনেটর সুবাস সাহা। এছাড়াও সেমিনারে বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন হতে আগত প্রতিনিধিগণ সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।