৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়েছিল গত ৯ মে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে এসে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ঢেলে সাজিয়েছে। নতুন কমিশন তাদের প্রথম সভায় কঠোর কিছু সিদ্ধান্ত নেয়। বৈষম্য দূর ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয় বলে জানায় পিএসসি।
কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী— ৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল নতুন করে প্রকাশ করার ঘোষণা দেয় পিএসসি। তাতে প্রথম দফায় উত্তীর্ণ ১০ হাজার ৬৩৮ জনের সঙ্গে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সমসংখ্যক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করা হবে বলে জানানো হয়।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার (২৭ নভেম্বর) ৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ‘পরিবর্ধিত’ ফল প্রকাশ করেছে পিএসসি। তাতে নতুন করে ১০ হাজার ৭৫৯ জনকে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। প্রথম দফার হিসাবে এ দফায় ১২১ জনকে বেশি পাস করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন ৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল পুনরায় প্রকাশ, উত্তীর্ণ ২১৩৯৭সমসংখ্যক প্রার্থীকে পাস করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বেশি হওয়ার কারণ জানিয়েছে পিএসসি। সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য বৈষম্যদূরীকরণের লক্ষ্যে কমিশনের ১৮ নভেম্বরের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আরও ১০ হাজার ৭৫৯ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সংখ্যায় বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, সর্বনিম্ন নম্বরের একাধিক সংখ্যক প্রার্থী থাকায় সমসংখ্যক প্রার্থীর চেয়ে কিছু সংখ্যক বেশি প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করতে হয়েছে। ফলে আগের ১০ হাজার ৬৩৮ জনসহ মোট ২১ হাজার ৩৯৭ জন প্রার্থীকে সাময়িকভাবে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ও প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলী কমিশনের ওয়েবসাইটে ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তিসংগত কারণে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলে কমিশন তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এএএইচ/এমএএইচ/জিকেএস