স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, নতুন রোগী ১৮৬

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৬ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১৭ জন এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ৭০ জনে।

Advertisement

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের। এছাড়া হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪০, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪২, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬৭, খুলনা বিভাগে ১৭, ময়মনসিংহে ১০ ও সিলেট বিভাগে একজন রয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৫ হাজার ৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। একই সময়ে ৫১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ পুরুষ।

Advertisement

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

Advertisement

২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগে মারা যান ২৮১ জন।

এএএম/এমএএইচ/এএসএম