জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে সাত খুন : আসাদুজ্জামানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার অসামি র‌্যাব সদস্য সিপাহী আসাদুজ্জামান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি জবানবন্দি দেন। আসাদুজ্জামান জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত র‌্যাব-১১’র কার্য্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। গত শনিবার রাতে সেখান থেকে তাকে সাত খুনের মামলায় গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন রোববার সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ মন্ডল তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ মন্ডল কঠোর গোপনীয়তা ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সিপাহী আসাদুজ্জামানকে জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে হাজির করেন। পরে আসাদুজ্জামান আদালতে সাত খুনের ঘটনার অপহরণ থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ডের পর সাতজনের লাশ কিভাবে গুম করা হয়েছে তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তার এ জবানবন্দি আদালতে রেকর্ড করা হয়।এই ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে এবং হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে ১৮জন র‌্যাব সদস্যসহ মোট ৩৭ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে র‌্যাবের ১৭ জনসহ মোট ৩০ জনকে।উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয় জনের ও পরদিন ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।এই ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন।