শিক্ষা

এনসিটিবি চেয়ারম্যানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে নিম্নমানের পাঠ্যপুস্তক ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।

রিটে শিক্ষা সচিব, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টাদের বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বই নিয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. কামাল হোসেন এই রিট দায়ের করেন। রিটের বিষয়টি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন তিনি নিজেই।

গত ৩ ডিসেম্বর জাতীয় দৈনিকে ‘নিম্নমানের বই ছেপে ১২ বছরে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এছাড়া আরও কিছু খবর প্রকাশ হয়েছে। এসব যুক্ত করে বই ছাপানো ও বিতরণের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে রিট আবেদন করা হয়েছে।

আইনজীবী মো. কামাল হোসেন বলেন, বোর্ডের বই শিক্ষার্থীদের বিতরণের আগে নিজেদের লোকের মধ্যে টেন্ডারে ১২০০ থেকে ১৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তাই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদেক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছি।

তিনি বলেন, পাবলিক প্রকিউরম্যান অ্যাক্ট (পিপিআর) এবং পাবলিক প্রকিউরম্যান রুল মেইনটেইন না করে এই টেন্ডারগুলো করেছে। নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে তিনজন টেন্ডারার থাকতে হবে। সেখানে কোনো টেন্ডার করা হয়নি।

আইনজীবী জানান, সিন্ডিকেট করে ছাপাখানা মালিকরা বই ছাপার কাজ বাগিয়ে নিলেও দরপত্র যাচাই ও মূল্যায়নে পিপিআর ২০০৮-এর ৩১(৩) বিধি অনুযায়ী টেন্ডার প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি হলে রি-টেন্ডারের সুপারিশের কথা। ছাপাখানা মালিকরা প্রাক্কলিত দরের চেয়ে প্রায় ২১ শতাংশ বেশিতে টেন্ডার জমা দিলেও এনসিটিবি পুনরায় টেন্ডার না করেই কাজ দিয়ে দেয়।

কামাল হোসেন বলেন, প্রাক্কলিত দরের চেয়ে প্রায় ২১ শতাংশ বেশি টাকা ব্যয় করেছে এনসিটিবি। সরকারের অর্থ অপচয় হয়েছে। এখানে দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। একজন অভিভাবক ও আইনজীবী হিসেবে আমি প্রথমে দুদকে আবেদন করেছি। এবার রিট আবেদন করেছি।

এফএইচ/এএএইচ/এমআইএইচএস