আইন-আদালত

হাসিনাকে ফেরত দিয়ে ন্যায়ের পক্ষে থাকবে ভারত, আশা টবি ক্যাডম্যানের

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠিয়ে ভারত ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের কাছে এমন আশার কথা প্রকাশ করেন তিনি।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন প্রসিকিউটর। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তদন্ত সংস্থাকে তদন্তের সম্পূর্ণ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

ট্রাইব্যুনালের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের ক্যাডম্যান বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে জুলাই গণহত্যার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত দেশে ফেরত পাঠাবে।

টবি ক্যাডম্যান বলেন, ‘এখানে ফেয়ার ট্রায়াল এনসিওর করা হবে, এ বিষয়টা আমরা দেখাতে চাই। ভারত বিচারহীনতার পক্ষে দাঁড়াবে, নাকি একজন মানুষকে বিচারের পক্ষে দাঁড় করাবে। তাকে বিচার থেকে রেহাই দেওয়ার পক্ষে দাঁড়াবে নাকি একটা ন্যায়বিচার হোক তার পক্ষে দাঁড়াবে।

‘আমরা আশা করি, ভারত একটা ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াবে এবং সেভাবে আন্তর্জাতিক নর্মস মেনে তাকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ করবে। যাতে করে তিনি এখানে প্রোপারলি নিজেকে ডিফেন্ড করতে পারেন। তার নিজের আইনজীবী দিয়ে নিজের কেসটাকে মেক আউট করতে পারেন।’

এ সময় ক্যাডম্যানের সঙ্গে অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছাড়ার পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে থাকছেন।

গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে সারাদেশে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অনেক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে।

এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।

প্রায় তিনশ মামলায় শেখ হাসিনার বিচার চলার মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারত সরকারকে কূটনৈতিকপত্র (নোট ভারবাল) পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। ভারত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব বাংলাদেশকে দেয়নি। বরং ভারতে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর খবর এসেছে দেশটির সংবাদমাধ্যমে।

এর মধ্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে আরো বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত না পাঠানোর অবস্থানে আছে ভারত সরকার। ঢাকার চিঠির জবাব দিতে দিল্লি কয়েক মাস সময় নিতে পারে, এমন কথাও বলা হয় এসব প্রতিবেদনে।

এফএইচ/এমএএইচ/এএসএম