জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে সফল মিসাইল উৎক্ষেপণ করলো নৌবাহিনী

বঙ্গোপসাগরে সফল মিসাইল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বার্ষিক সমুদ্র মহড়া ‘এক্সারসাইজ সেফগার্ড’ শেষ হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়য়, আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজে আরোহণ করে সমাপনী দিবসের মহড়া প্রত্যক্ষ করেন।

এর আগে বাহিনী প্রধান জাহাজে এসে পৌঁছালে কমান্ডার বিএন ফ্লিট তাদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার সুরক্ষা ও সংকটকালে সংশ্লিষ্ট সামুদ্রিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে জলসীমার সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সামুদ্রিক এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

মহড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রোল ক্রাফট, মিসাইল বোটসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাহাজ, নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট ও হেলিকপ্টার এবং বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াড প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে।

এছাড়াও বাংলাদেশ সেনা ও বিমান বাহিনী, কোস্ট গার্ডসহ সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম সংস্থা এ মহড়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে।

নৌসদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ অর্জনে তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত এ মহড়ার উল্লেখযোগ্য দিকের মধ্যে রয়েছে নৌবহরের বিভিন্ন কলাকৌশল অনুশীলন, সমুদ্র এলাকায় পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, লজিস্টিকস অপারেশন, উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত নৌ স্থাপনাসমূহের প্রতিরক্ষা মহড়া প্রভৃতি।

শেষ দিনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণ, বিমান বিধ্বংসী গোলাবর্ষণ, সাবমেরিন বিধ্বংসী রকেট ডেপথ চার্জ নিক্ষেপ, ভিবিএসএস, নৌকমান্ডো মহড়া ও নৌযুদ্ধের বিভিন্ন কলাকৌশল অনুশীলন করা হয়।

মহড়ার সফল সমাপ্তির পর সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধান চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের সকল কর্মকর্তা ও নাবিকদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে তারা সফল মহড়ার জন্য নৌসদস্যদের অভিনন্দন জানান এবং নৌসদস্যদের দেশাত্মবোধ, পেশাগত মান, দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার ভূঁয়সী প্রশংসা করেন।

চূড়ান্ত পর্বে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধান উপস্থিত থেকে মহড়াকে আরও তাৎপর্যময় করে তোলায় নৌবাহিনী প্রধান তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

টিটি/বিএ/জেআইএম