জাতীয়

মসজিদে জুতা চুরির পর পিস্তল দেখিয়ে ভয়, পথচারীর হাতে যুবক আটক

রাজধানীর পান্থপথে চুরির পর প্রকাশ্য দিবালোকে পিস্তল বের করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা এক যুবককে আটক করেছে পথচারী ও পুলিশ। ওই যুবকের নাম ইবতেশাম রহমান আলফি (১৮)। তিনি মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা। তিনি নিজেকে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বলে দাবি করেন।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে পান্থপথের এসআইবিএল ফাউন্ডেশন হাসপাতালের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) রাজিব গায়েন ওই যুবককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, যুবকের কাছে পাওয়া পিস্তলটি আসল বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এতে কোনো গুলি ছিল না। তবে আটক যুবকের দাবি, পিস্তলটি খেলনা ছিল এবং টাকার প্রয়োজনে তিনি চুরি করেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত জোহরের নামাজের পর। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এসআইবিএল ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ভেতরের মসজিদে নামাজ পড়ে কয়েকজন যুবক বের হয়ে দেখেন তাদের একজনের জুতা নেই।

সহকারী কমিশনার রাজিব গায়েন বলেন, ওই যুবকরা হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এক সন্দেহভাজন যুবককে শনাক্ত করেন। বাইরে বেরিয়ে তারা ফুটেজে দেখা যুবকের মতো একজনকে দেখে তাকে চ্যালেঞ্জ করে।

তিনি জানান, সন্দেহভাজন ওই যুবক তখন কোমর থেকে পিস্তল বের করে ভয় দেখালে তারা পিছিয়ে যায়। এ অবস্থায় ওই রাস্তা দিয়ে রিকশায় যাওয়ার সময় একজন ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করেন।

তখন ওই এলাকায় হইচই শুরু হলে সন্দেহভাজন যুবক পান্থপথ ট্রাফিক পুলিশ বক্সের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। সেখানে ট্রাফিক পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর খবির হোসেন তাকে আটকে ফেলেন।

খবির হোসেন বলেন, আমি তখন ট্রাফিক লঙ্ঘন করা কিছু গাড়ি জরিমানা করছিলাম। হঠাৎ দেখি পথচারীরা পিস্তলসহ এক যুবককে আটকের চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, আমি ওই যুবককে আটকানোর চেষ্টা করি, কিন্তু তিনি ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং পিস্তল ছাড়ছেন না। স্থানীয় ও পথচারীদের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। আমিও ব্যথা পেয়েছি।

একপর্যায়ে পিস্তলসহ ইবতেশাম রহমান আলফিকে আটক করে পান্থপথ ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয় ও কলাবাগান থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে কলাবাগান থানার (ওসি) মোক্তারুজ্জামান বলেন, এটি খেলনা পিস্তল, কিন্তু দেখতে আসলের মতো মনে হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

পিস্তলের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত হবে এবং আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

টিটি/এমআইএইচএস/জিকেএস