চবির আবাসিক হল হচ্ছে সরকারি কোয়ারেন্টাইন!
সরকারি সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে (চবি) নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এজন্য বেছে নেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অনুরোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোয়ারেন্টাইনের জন্য হলটি ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এমন কোয়ারেন্টাইনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বসবাসকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঝুঁকিতে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার দুপুরে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। আজ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আদেশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
উপাচার্য বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ক্যাম্পাসের এক পাশে অবস্থিত। আমরা কয়েকটি শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করতে রাজি হয়েছি। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে এটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
তবে আমরা বলেছি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সময় যাতে কোনো ব্যক্তির আত্মীয় স্বজন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে। এছাড়া কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত এখান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। একইসঙ্গে আপদকালীন সময়ের পরে সেনাবাহিনী পুরো হল স্যানিটাইজ করবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে বসবাসকারী শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা আশঙ্কা জানিয়ে বলেন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের দক্ষিণে ১০০ গজের মধ্যে ৫০০ কর্মচারীর পরিবার বাস করে। এছাড়া ২০০ গজ পূর্বেই শিক্ষকদের আবাসিক কলোনি। এটি অনেকটা বারুদের মধ্যে বসবাস করা। দেশের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও, সবার আগে অবশ্যই এখানে যারা বসবাস করে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকটি প্রাধান্য দেয়া উচিত ছিল।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হলেও কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। কারণ হলটি লোকালয় থেকে কিছুটা দূরে। যেহেতু সরকারি সিদ্ধান্ত তাই সাধারণ জনগণের জন্য ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা আমরা রাজি হয়েছি। আর সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধান করবে তাই আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।
আবদুল্লাহ রাকীব/এফএ/এমএস