ঢাবিতে পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত

মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকাল ১০টায় মহান এই দিবস উপলক্ষে কলাভবন সংলগ্ন বটতলায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। এতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হল ভুঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত যে মুজিব শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সুযোগ পেয়েছি। অগ্নিঝরা মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সব গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহ সংগঠিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়। সেদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে একটি জাতি-রাষ্ট্রের সূচনা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, তারপর ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরোক্ষ ঘোষণা দেন। ৭ মার্চ শুধু বাঙালি জাতির জন্য মুক্তির ভাষণ নয়, এটি একই সঙ্গে সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা। এ কারণেই জাতিসংঘ ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। একই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল। এভাবে ইতিহাস এবং দর্শনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানিদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা ওড়ানো হয়েছিল।
এমআরআর/জিকেএস