ঢাবির শহীদুল্লাহ হলে শতবর্ষের মিলনমেলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শতবর্ষের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান হল প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন ও হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর বেপারী।
উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান শতবর্ষের মিলনমেলার আনন্দ ভাগাভাগি করতে হলের সব শিক্ষার্থীকে সম্পৃক্ত করে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সবাই মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি দর্শন। তিনি সবাইকে নিয়েই আনন্দ উদযাপন করতেন, শুধু কষ্ট ভোগ করতেন নিজে এককভাবে।
আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতা মোকাবিলায় এবং তাদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য বৃত্তি দেওয়াসহ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করতে উপাচার্য হল অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও শহীদুল্লাহ হলের ১৯৭৫-৭৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশও অনেক উত্তপ্ত ছিল। সে সময় সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ছিল। মার্শাল ল’ থাকায় গোপনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে হয়েছে।
হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে তিনি বলেন, শুধু একত্রিত হওয়াই নয়, এটাকে যদি আমরা সামনে এগিয়ে নিতে চাই এটার একটা আউটপুট আসতে হবে। পরের প্রজন্ম বা বর্তমানে যারা শহীদুল্লাহ হলের ছাত্র তাদের ওয়েলফেয়ারের জন্য এবং দীর্ঘমেয়াদি একটা পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যদি কিছু করার চিন্তা করি, তাহলেই একটি কার্যকর পুনর্মিলনী করতে পারলাম। আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে একটি ওয়েলফেয়ার ফান্ড গঠনের প্রস্তাব জানাচ্ছি।
আল সাদী ভূঁইয়া/আরএডি/এএসএম