‘কৃষি উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আরও গবেষণা প্রয়োজন’

কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন ক্রমাগত রাখতে আরও বেশি গবেষণা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. সামসুল ইসলাম।
তিনি বলেন, করোনার সময় বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। ফসল, মৎস্য ও পশুপালনের মাধ্যমে আমরা আমিষসহ সব ধরনের খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
শনিবার (২১ মে) বিকেলে রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক ‘উইড সাইন্স সোসাইটির’ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগাছানাশক ব্যাবহার কমাতে হবে। কেন না তা বৃষ্টির পানির মাধ্যমে পুকুর নদী নালাতে যেয়ে মাটি, পানি ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। জৈব উপায়ে কীভাবে আগাছা রোধ করা যায় সেদিকে সুনির্দিষ্টভাবে গবেষণা আবশ্যক।
সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন- কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস, এসিআই ফরমূলেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সুস্মিতা আনিস, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে. এম. মোস্তাফিজুর রহমান।
উইড সায়েন্স সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ড. হযরত আলী সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, দুই শতাধিক দেশি-বিদেশি কৃষি বিজ্ঞানী, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং আগাছানাশক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা
সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনে আগাছার সমস্যা ও সমাধান নিয়ে ‘ক্লাইম্যাট রিসাইলেন্ট ম্যানেজমেন্ট ইন দ্য ইরা অব ক্লাইম্যাট চেঞ্জ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। উপস্থাপনা করেন এসিয়া পেসিফিক উইড সাইন্স সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অডিসিলি নারায়ানা রাও। এছাড়া ফসলের ওপর আগাছার প্রভাব এবং পরিবেশবান্ধব আগাছা নিধনের উপায় নিয়ে প্রায় ২০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়।
এসজে/জেআইএম