বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
ব্রাজিলের হারে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উল্লাস

অনেক নাটকীয়তায় পেনাল্টি শুটআউটে ব্রাজিলকে ৪-২ গোলে জয়লাভ করেছে ক্রোয়েশিয়া। ব্রাজিলের এই হারে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ব্রাজিল সমর্থকরা। অন্যদিকে ব্রাজিলের এই হারে আনন্দ উল্লাস করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রাত ৯টায় অ্যাডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার লড়াইয়ে ১২০ মিনিটের খেলা ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়। এরপর পেনাল্টিতে ৪-২ ব্যবধানে জিতেছে ক্রোয়েশিয়া। একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেয়েছে দলটি।
খেলা শুরু হওয়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।এসময় ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও খেলা দেখার সুযোগ করে দেয় বেরোবি শাখা ছাত্রলীগ। মেয়েদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ম্যাচ চলাকালে দেখা যায় পতাকা, বাঁশি এবং জার্সি, পরে বর্ণিল সাজে সেজে খেলা উপভোগ করছেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। এ সময় আর্জেন্টিনা দর্শকদেরও উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পুরো খেলার সময় উভয়পক্ষের উল্লাসে পুরো ক্যাম্পাস কেঁপে ওঠে। ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত করেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।
নির্ধারিত সময়ে খেলায় ফলাফল না আসলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে লক্ষ্যভেদ করে ব্রাজিল শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছিলেন নেইমার। এরপর ১১৭ মিনিটে গোল করে অবিশ্বাস্যভাবে ক্রোয়াটদের ম্যাচে ফেরান ব্রুনো পেটকোভিচ।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ১৫ মিনিটের খেলা ছিল আগের ৯০ মিনিটের মতোই। এ সময় এক মিনিট এক্সট্রা টাইম দেন রেফারিরা। আর বাকি থাকা এই কয়েক সেকেন্ডই কাজে লাগান নেইমার।
অনবদ্য দক্ষতায় ক্রোয়াট ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে দেয়াল হয়ে থাকা লিভানকোভিচকে বোকা বানিয়ে কঠিন কোণ থেকে বল জালে পাঠান নেইমার।
নেইমারের এই গোলের পর জয় থেকে মাত্র ৩ মিনিট দূরে ছিল ব্রাজিল। কিন্তু এখানে যেন অন্য কিছু ভেবে রেখেছিলেন সৃষ্টিকর্তা। আর তাই যেন আচমকা আক্রমণে ব্রাজিলকে স্তব্ধ করে দেন ব্রুনো। তার গোলে যেন আরেকবার লড়াই করার লাইফলাইন পায় ক্রোয়াটরা।
এখন টাইব্রেকার তথা পেনাল্টিতে নির্ধারিত হয় ম্যাচের ফলাফল। যেখানে ব্রাজিলের হয়ে ক্যাসেমিরো ও পেদ্রো গোলের বল জালে জড়াতে পারলেও ব্যর্থ হন রদ্রি ও মার্কুইনোস। ক্রোয়াটদের হয়ে একে একে বল জালে জড়ান নিকোলা ভ্লাসিচ, লভ্রো মাজের, লুকা মদরিচ ও মিস্লাভ ওরসিচ।
এসময় ব্রাজিল সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ক্যামেরা দেখে মুখ গুটিয়ে নেন তারা। কিন্তু আর্জেন্টাইন সমর্থকদের কাছে এ জয় যেন আর্জেন্টিনার জয়।
ব্রাজিলের হারে উল্লাস প্রকাশ করে আর্জেন্টিনা সমর্থক সুমন বলেন, ব্রাজিল সমর্থকরা কই তারা নাকি হেক্সামিশন করবে। তাদের এখন লজ্জা থাকলে এ কথা বলবে না।
ব্রাজিল সমর্থকদের খোটা দিয়ে আরেক আর্জেন্টাইন সমর্থক বলেন, ব্রাজিল সাপোর্টারদের জ্বালায় সোশাল মিডিয়ায় ঢুকতে পারি না। আমাদের নিয়ে তারা অনেক ট্রল করে। আজ ব্রাজিলের এই হারে আমি আনন্দ অনুভব করছি। একই সঙ্গে বলতে চাই ক্রোয়েশিয়া যথেষ্ট ভালো খেলেছে।
রিফাত নামের এক আর্জেন্টিনা সমর্থক বলেন, ব্রাজিলের সমর্থকরা যে অহংকার নিয়ে খেলা দেখতে বসেছিল তা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
জেএস/জেআইএম