সিলেট
গণমিছিলে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, আটক ৮
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সিলেট।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল চারটায় আখালিয়া এলাকায় শিক্ষার্থী, স্থানীয় ব্যক্তি ও পুলিশের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক ও পথচারীসহ অন্তত ৩০-এর অধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একজন শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের আইসিইউতে আছে। এসময় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেল তিনটায় সুরমা আবাসিক এলাকায় জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা সিলেট-সুনামগঞ্জ এলাকা অবরোধ করেন। এরপর বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দিয়ে গণমিছিল নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গেটের সামনে আসেন। সেখানে পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষার্থীরা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে মদিনা মার্কেটের দিকে রওনা হন। মিছিলটি মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে গেলে পেছন থেকে পুলিশ রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপরই শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
দফায় দফায় চলমান এ সংঘর্ষে একজন সাংবাদিকসহ অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে আটক করেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ গালিব বলেন, সিলেটে ছাত্র-জনতার গণমিছিলে সামনে ও পেছনে দুদিক দিয়ে বর্বরোচিত আক্রমণ চালিয়েছে পুলিশ-সিআরটি-র্যাব। এই বাহিনীগুলো ইসরায়েলের আইডিএফ-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ফিলিস্তিনের জনগনের মতো করে দেশের মানুষের উপর নৃশংস আক্রমণ চালাচ্ছে। এই আক্রমণ বন্ধ না হলে এদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনতা হামাসের যোদ্ধা হয়ে আগামীতে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছে। আমাদের অন্তত ৫-৬ জন পুলিশ আহত হয়েছে। নাক ফেটে রক্ত পড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটগানের গুলি, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে। আমরা ৮ জনকে আটক করে থানায় পাঠিয়েছি।
নাঈম আহমদ শুভ/এমএইচআর/জেআইএম