জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

হামলায় মদদদাতা শিক্ষকদের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার মদদদাতা শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহুয়া চত্ত্বর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘১৫ জুলাই শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার প্রেক্ষিতে বিচার চাইতে উপাচার্যের বাসভবনে গিয়েছিলাম। সেখানে ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। এই হামলার মদদদাতা ছিলেন কিছু নামধারী শিক্ষক। এসব শিক্ষকদের প্রতি নিন্দা, ঘৃণা ও লজ্জা জানাই। আপনাদের শিক্ষক হিসেবে উচিত ছিল ন্যায়-নীতির পক্ষে থাকা। কিন্তু আপনারা সাবেক সরকারের চাটুকারিতা করে চাকরিতে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। অনেক শিক্ষক ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন বাকি যারা পদত্যাগ করেননি তাদের অতিদ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।’

এদিকে, একই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ছয় শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দুপুর দেড়টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ, অধ্যাপক এ কে এম ইউসুফ হাসান, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল হাবীব, ফাহিম মালিক ও মহিবুর রৌফ শৈবালের পদত্যাগ দাবি করেন।

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা মদদদাতা এবং যেসব শিক্ষক ছাত্রলীগের পক্ষে ছিলেন তাদের পদত্যাগ চাই। এরমধ্যে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ হামলার আগে বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং বাহিরের এক ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে বৈঠক করে এই হামলার মদদ দিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছি। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যখন ছাত্রলীগ হামলা চালাচ্ছিল তখন তার পাশে টিচার্স ক্লাবে দু’জন সাংবাদিক আশ্রয় নিলে ওই শিক্ষক তাদেরকে আশ্রয় দেয়নি। এ খুনি শিক্ষকদের শিক্ষকতা করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। অবিলম্বে তাদের চাকরিচ্যুত করে শাস্তির আওয়ায় নিয়ে আসতে হবে।’

এএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।