প্রেমিককে ৬ টুকরা, প্রেমিকার ১০ বছরের কারাদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী
প্রকাশিত: ০৬:৫৪ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

নরসিংদীতে কলেজছাত্র খোরশেদ আলমকে ৬ টুকরা করে হত্যা মামলায় প্রেমিকা আনিছা সুলতানা এ্যামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ বেগম ফাতেমা নজিব এ দণ্ডাদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম এন অলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত এ্যামি শহরের ঘোড়াদিয়া মহল্লার সৌদিআরব প্রবাসী গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা।

হত্যার শিকার খোরশেদ আলম রায়পুরা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে ও নরসিংদী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও একই কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, একই কিন্ডার গার্টেনে শিক্ষকতার সুবাদে কলেজছাত্র খোরশেদ আলমের সঙ্গে পরিচয় হয় সহকর্মী আরিফা সুলতানা এ্যামির। সম্পর্কের সুবাদে এ্যামির বাসায় নিয়মিত যাতায়াত শুরু করে খোরশেদ।

২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে এ্যামির বাসায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুইজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে এ্যামির হাতে থাকা বটির কোপে মারা যায় খোরশেদ আলম।

পরে গুম করার জন্য খোরশেদের মরদেহ ৬ টুকরা করে বস্তাবন্দি করে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে প্রেমিকা এ্যামি। পরদিন মঙ্গলবার মরদেহের হাত পা ও মাথা পুরানপাড়া এলাকার হাড়িধোয়া নদীতে ফেলে দেয়া হয়। সন্ধ্যায় মাথাবিহীন বস্তাবন্দি মরদেহটি হাড়িধোয়া নদীতে ফেলার সময় এ্যামিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বেদন মিয়া বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় আনিছা সুলতানা এ্যামিকে প্রধান আসামি ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষে খোরশেদ আলম হত্যার সঙ্গে এ্যামির জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।

সঞ্জিত সাহা/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।