রংপুরের ছয় জেলায় ৩২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ছয়দিনে রংপুর বিভাগের ছয় জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিদেশফেরত ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান নিয়েছেন বিদেশফেরত নয়জন। এর মধ্যে রংপুর জেলার চারজন।
বিদেশ থেকে করোনা নিয়ে প্রবাসীরা দেশে আসার খবর ছড়িয়ে পড়ায় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাশাপাশি বিদেশফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়টি জানেন না অনেক জনপ্রতিনিধি।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক সুলতান আহমেদ বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সবাই সুস্থ। তাদের দেহে করোনাভাইরাস আছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাই আশপাশের মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, ১০ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ছয়দিনে রংপুর বিভাগের ছয় জেলায় মোট ৩২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন চারজন, গাইবান্ধায় তিনজন, নীলফামারীতে আটজন, কুড়িগ্রামে ১১ জন, লালমনিরহাটে তিনজন এবং দিনাজপুরে তিনজন। এরা সবাই নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় মোট চারজন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এর মধ্যে রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ডের কেল্লাবন্দে সিঙ্গাপুরফেরত এক ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তিনি ১৪ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন। কাউনিয়া উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তিনজন। এদের মধ্যে দুজন দুবাই থেকে ৬ মার্চ এবং ৯ মার্চ দেশে আসেন। বাকি একজন এসেছেন ৯ মার্চ ইতালি থেকে।
জেলা সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সব ব্যক্তি সুস্থ। বর্তমানে ভালো আছেন তারা। তবে তাদেরকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, চীনফেরত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা একজনকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি গত ১ মার্চ চীন থেকে দেশে আসেন।
করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে প্রবাসীরা দেশে আসায় স্থানীয়দের মনে আতঙ্ক বিরাজ করলেও বিদেশফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়টি জানেন না জনপ্রতিনিধি।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুল বলেন, আমার ওয়ার্ডের কেউ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয় আমি জানি না। তবে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে খোঁজখবর নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।
কাউনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া বলেন, আমার এলাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা ভালো আছেন। আমার এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক নেই।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপপরিচালক সুলতান আহমেদ বলেন, দিনাজপুরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাবা-ছেলের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। তারা ভালো আছেন। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকুন সবাই।
জিতু কবীর/এএম/এমকেএইচ