বিদেশ থেকে ফিরে একাধিক অনুষ্ঠানে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ পিএম, ২১ মার্চ ২০২০

হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে নিয়মিত অফিস করছেন রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোকবুল হোসেন। গত ১১ মার্চ তুরস্ক, ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশ ঘুরে বাংলাদেশে আসেন তিনি।

আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত তার বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা ছিল তার। সরকারি সেই নির্দেশনা মানেননি বোর্ড চেয়ারম্যান। ১২ মার্চ থেকে নিয়মিত অফিস করছেন তিনি।

কেবল অফিসই নয়, যাচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও। গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুিষ্ঠানেও হাজির হন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তানবিরুল আলম, রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক হবিবুর রহমান, ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এস.আর তরফদারসহ বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন আলোচনা সভা, কেক কাটা, ম্যুরাল উদ্বোধন এমনকি প্রীতিভোজ ছিল ওই অনুষ্ঠানে। এতে বিপুল জনসমাগম ছিল।

এর বাইরে বোর্ড চেয়ারম্যান অভ্যন্তরীণ সভায় হাজির হচ্ছেন নিয়মিত। এতে প্রাণঘাতী করোনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। হোম কোয়ারেন্টাইন মানতে তাকে কড়া বার্তা দেয়া হয়েছে।

হোম কোয়ারেন্টাইনের শর্ত মেনে চলার দাবি করে অধ্যাপক মোকবুল হোসেন বলেন, দেশে ফেরার পর থেকে আমি বাইরে বের হইনি। কেবল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী হওয়ায় ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।

এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান হোম কোয়ারেন্টাইন অমান্য করছেন জানতে পেরে কড়া ভাষায় সতর্ক করা হয়েছে। বাকি সময় নিয়ম মেনে চলবেন বলে আমাদের নিশ্চিত করেছেন তিনি।

রাজশাহীর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য বলেন, শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান যেটি করেছেন, তা একেবারেই উচিত হয়নি। এমন কাণ্ডে তার সংস্পর্শে যারাই এসেছেন, তারাও এখন এক
ধরনের শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেল। যোগাযোগ করলে বাকি সময় নিয়ম মেনে চলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, শনিবার (২১ মার্চ) পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এক হাজার ৭২৪ জন প্রবাসীর দেশে ফেরার তথ্য পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২২৪ জন। কেবল জয়পুরহাটে একজনকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এখনও বিভাগের কোথাও করনো আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।