যশোরকে লকডাউনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি : ডিসি
যশোরে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব না ছড়িয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শফিউল আরিফ। রোববার (২২ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক বিশেষ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, যশোরকে লকডাউন করা হয়নি। লকডাউনের যে কথা প্রচারিত হচ্ছে তা স্রেফ গুজব। এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যাতে যশোরকে লকডাউন করতে হবে।
এর আগে দুপুরের দিকে যশোর পৌরসভার মেয়র তার কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বড়বাজারকেন্দ্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ সমিতিগুলোর নেতাদের সঙ্গে। সেখানে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধের প্রস্তাবনা দেয়ার পর ‘যশোর লকডাউন করা হয়েছে’ বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
এরই প্রেক্ষিতে বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে একটি বিশেষ সভা ডাকেন। যেখানে পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুও উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলের সভায় ব্যবসায়ী নেতা এবং গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। সভায় বলা হয়, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে মূলত মানুষের মাধ্যমে। সেই কারণে যেসব এলাকায় জনসমাগম বেশি, সেখান থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কাও বেশি। যশোরে বড়বাজারই হলো সবচেয়ে জনসমাগমের স্থান। এই স্থানে কীভাবে জনসমাগম কমানো যায়, তা ভাবতে হবে।
সভায় জানানো হয়, যশোরে করোনা পরিস্থিতি এখনো বেশ ভালো। এখনো পর্যন্ত এই জেলায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হননি। তা সত্ত্বেও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নানা ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেমন যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধ রয়েছে। কমিউনিটি হল, পৌরপার্কও বন্ধ করা হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যশোরের সব দোকানপাট, কাঁচাবাজর খোলা, গণপরিবহন চালু থাকবে। তবে বিপুল জনসমাগমস্থল বড়বাজারের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম হবে। ওই এলাকার যেসব প্রতিষ্ঠান সর্বক্ষণ খোলা রাখা জরুরি নয়, তেমন দোকানপাট দিনের কিছু সময় বন্ধ রাখা হবে। কোন ধরনের দোকান কত সময় বন্ধ থাকবে তা নির্ধারণ করবে ব্যবসায়ী সমিতিগুলো।
সভায় পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের অন্যতম ‘ভ্যাকসিন’ হচ্ছে সচেতনতা। ব্যক্তিপর্যায়ে সবাই সচেতন হলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। তাই সবাইকে সচেতন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি আশপাশের পরিবেশও পরিষ্কার রাখতে হবে। বিনা কারণে বাড়ি থেকে না বের না হওয়ার জন্য যশোরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মিলন রহমান/আরএআর/এমএস