তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভর্তির পর মৃত্যু, ২০ জন কোয়ারেন্টাইনে
তথ্য গোপন করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তির পর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করছেন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তথ্য গোপন করে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসক-নার্সসহ ২০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
মারা যাওয়া মোস্তাহিদুর রহমানের (৪৫) বাড়ি নগরীর হেলাতলা এলাকায়। হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসক- নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পয়েন্টের চিকিৎসক শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ঢাকার মডার্ন হাসপাতাল থেকে থাইরয়েড অপারেশন করে পোস্ট অপারেটিভ চিকিৎসার জন্য এক ব্যক্তি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল বুধবার রাত আড়াইটার দিকে তাকে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। প্রথমে আমরা ভেবেছি অপারেশনের কারণে হয়তো এ রকম হচ্ছে। দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ তার মৃত্যু হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়ায় ওই রোগীর কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি জানান এখানে আসার আগে ঢাকার মডার্ন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। একই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা আক্রান্ত এক রোগী মারা যান। কিন্তু ওই রোগী এখানে ভর্তির সময় সেই তথ্য গোপন করেছেন। তা না হলে তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হতো।
তিনি আরও বলেন, তার মরদেহ হাসপাতালে পড়ে আছে। যেসব চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী তার সংস্পর্শে এসেছেন তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সংখ্যা কত জানতে চাইলে এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ১৮-২০ জন হবে।
চিকিৎসক মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ওই রোগীকে মডার্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু তা মানেননি তিনি। সেই সঙ্গে তথ্য গোপন করে এখানে ভর্তি হন। তার কারণে ঝুঁকি বেড়ে গেল আমাদের। মারা যাওয়া ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত কি-না তা পরীক্ষা করা হবে। এ ব্যাপারে আইইডিসিআরে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে আমি নিশ্চিত মৃত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন, যে জন্য তিনি তথ্য গোপন করেছেন।
আলমগীর হান্নান/এএম/এমকেএইচ