হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে পালালেন ৬ জন
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে গত পাঁচদিনে ছয়জন রোগী পালিয়েছেন। করোনা সন্দেহভাজন এসব রোগী পালিয়ে যাওয়ায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৭ এপ্রিল থেকে রোগী ভর্তি শুরু হয়। জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে যেসব রোগী আসছেন; তাদের মধ্যে করোনা সন্দেহভাজনদের আইসিইউ ভবনের নিচতলার ফ্লু কর্নারে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। গত সাতদিনে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে ছয়জন পালিয়ে গেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার এক নারী (২৫) অসুস্থ অবস্থায় ৯ এপ্রিল আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে ১০ এপ্রিল কাউকে কিছু না বলে চলে যান। পরদিন একই ওয়ার্ড থেকে দুই মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে চলে যায় তার পরিবার। একই দিন দৌলতপুরের মধ্যডাঙ্গা এলাকার আরেক নারী (৫৮) পালিয়ে যান। পরদিন দিঘলিয়ার আরেক নারী (৪০) পালিয়ে যান।
রোববার হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বাগেরহাটের এক নারী (৩৮)। সোমবার সোনাডাঙ্গা এলাকার এক ব্যক্তি (৪০) পালিয়ে যান। পাশাপাশি আরও দুজন স্বেচ্ছায় হাসপাতাল থেকে চলে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব ব্যক্তি করোনা সন্দেহভাজন বলে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা আর চিকিৎসা না পাওয়ার অজুহাতে পালিয়ে গেছেন তারা। বর্তমানে তারা কোথায় আছেন, কীভাবে আছেন জানে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে একজনের যদি করোনা পজেটিভ হয় তাহলে সংক্রমণ ছড়াবে কতজনের মধ্যে, তা নিয়ে আতঙ্কিত সবাই।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের রেগুলার ও আউটসোর্সিংয়ের শতাধিক কর্মচারী থাকলেও ফ্লু কর্নারে সিকিউরিটির দায়িত্ব কাউকে দেয়া হয়নি। ফলে যেসব রোগী বর্তমানে সেখানে ভর্তি আছেন তাদের আত্মীয়-স্বজনরা ভেতরে অবাধে যাতায়াত করছেন। এতে চরম অব্যবস্থাপনা চলছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক ফিজিশিয়ান ও করোনা ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, রোগী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী রেজা সেকেন্দার বলেন, রোগী পালিয়ে গেছে এমন খবর পাইনি। রোগী পালানোর এমন অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আলমগীর হান্নান/এএম/জেআইএম