বরিশালের করোনা ইউনিটে তিনদিনে পাঁচজনের মৃত্যু
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ইউনিটে আরও এক যুবকের (২৫) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনার উপসর্গ নিয়ে সেখানে দুই যুবকের মৃত্যু হলো। গত তিনদিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ইউনিটে।
রোববার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ওই যুবকের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন বলেন, শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) রাতে জ্বর, সর্দি-কাশির তথ্য গোপন করে ওই যুবককে মেডিকেলের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করেছিলেন স্বজনরা। চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে রাতেই তাকে করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে পাঠানো হয়।
রোববার সকাল থেকে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি-না তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
শেবাচিম সূত্র জানায়, করোনা ইউনিটে গত তিনদিনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বরগুনার বেতাগীর ফুলতলা এলাকার ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। মারা যাওয়ার পর শুক্রবার রাতে পাওয়া তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
একই দিন (১৭ এপ্রিল) ভোর ৪টায় করোনা ইউনিটে ৪২ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়। ওই নারী পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা করোনা ইউনিটে পাঠান। নমুনা সংগ্রহের পর শুক্রবার রাতে তার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালীর বিয়ারঝুড়ি এলাকায়। জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
১৬ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। ১৭ এপ্রিল রাতে তার রিপোর্ট পাওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
রোববার (১৯ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ৩২ বছর বয়সী পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার শৌলা গ্রামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে তাকে অচেতন অবস্থায় শেবাচিমের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন ওই যুবক।
রোববার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। একইদিন (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে জ্বর, সর্দি-কাশির তথ্য গোপন করে ওই যুবক মেডিকেলে ভর্তি হন।
সাইফ আমীন/এএম/এমকেএইচ