পটুয়াখালীতে করোনা আতঙ্কে বেড়েছে চোর

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে সমগ্র মানুষ। বাংলাদেশে দিনেদিনে আক্রান্তের সংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এদিকে পটুয়াখালীতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে দুইজন। এ ছাড়া একজন মৃত্যুবরণ করেছেন আরেকজন চিকিৎসাধীন। করোনা আতঙ্কের মধ্যে জেলায় হঠাৎ করেই বেড়েছে চোরের উপদ্রব।
জানা গেছে, ১৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় পৌর শহরের বনানী এলাকার আবদুল করিম মৃধা কলেজের শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বাসায় ঢুকে চুরির চেষ্টা চালিয়েছে চোরেরা।
অপরদিকে জেলার গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ইচাদী গ্রামের কৃষক জয়নাল মিয়ার একটি ও গনি জমাদ্দার দুটি গরু চুরি হয়েছে।
আবদুল করিম মৃধা কলেজের শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, সবাইতো এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় দিয়ে দিন পার করছি। চারতলা বাসার উপরের তলায় আমার পরিবার নিচ তলায় শালিকা বসবাস করে। মধ্যের তলাগুলোতে অন্য ভাড়াটিয়ার আছে।
তিনি বলেন, ১৮ এপ্রিল রাতে প্রতিদিনের মতো আমরা সবাই চারতলার বাসায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রতিবেশীরা কল দিয়ে বললো, আপনার বাসায় ধোয়া কিসের? আমি দরজা খোলার চেষ্টা করি কিন্তু বাহির থেকে দরজা আটকানো ছিল। পরে দরজা ভেঙে বের হই। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বের হয়ে যখন নিচে নামি তখন দেখি বাসার নিচ তলার ফ্লোরে শাড়িতে আগুন। নিচ তলার সকল কিছু এলোমেলো। এরপর সকল কিছু খোঁজ করে পেছনে দিকে গেলে দেখতে পাই ভেন্টিলেটর ভাঙ্গা। দামী কোনো কিছু না পেয়ে শাড়িতে আগুন লাগিয়ে গিয়েছে চোর।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছিল। চোর না চেনায় কোনো অভিযোগ দেইনি। অপরদিকে, গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ইচাদী গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ১৮ এপ্রিল রাতে গ্রামের কৃষক জয়নাল মিয়ার একটি ও গনি জমাদ্দার দুটি গরু চুরি হয়েছে। করোনা আতঙ্কের মধ্যে এখন আবার কৃষকদের কাছে নতুন আতঙ্ক গরু চোর।
পৌর এলাকার সদর রোর্ড এলাকার নিরাপত্তা প্রহরী মো. ফারুক বলেন, সব জায়গায় মানুষ আতঙ্কিত। আমাদের এখানে অপরিচিত কোনো মানুষ প্রবেশ করতে দেই না। রাতে গেট লক হলে আর খোলা যাবে না।
পটুয়াখালী পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) শেখ বিল্লাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, চুরি রোধে জেলার সকল এলাকায় পেট্রলিং বাড়ানো হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশ ব্যবহার হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশ কাজ করছে।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমআরএম