সাভারে ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন করোনায় আক্রান্ত
সাভারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজনই বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক। যাদের বয়স ৩৫ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে। এর একদিন আগে মহামারি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ার সকল ধরনের কারখানা বন্ধের সুপারিশ করেছিল উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত সাভারে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪ জনে। সংক্রমণ থেমে নেই পার্শ্ববর্তী উপজেলা ধামরাইতেও। সেখানেও আক্রান্তের সংখ্যা সাতজন। নতুন করে আক্রান্ত সাতজন তৈরি পোশাক শ্রমিক যেসব এলাকায় থাকতেন ওইসব এলাকা লকডাউন করে দিয়েছে পুলিশ।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, করোনার বিস্তার ঠেকাতে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কাছে জরুরি একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ার সকল কারখানা বন্ধসহ সাভারে প্রবেশের সকল পথ বন্ধ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে ওই চিঠির বিষয়ে সর্বশেষ সরকার কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কেউ কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
ডা. সায়েমুল হুদা আরও বলেন, আমরা যেমনটি আশঙ্কা করছিলাম তা এখন বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে। এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়া হলে এ অঞ্চলে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। পোশাক কারখানা খোলার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। নতুন করে আক্রান্তদের প্রায় সকলেই পোশাক শ্রমিক। তাদের রাজধানীর মিরপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার শতাধিক পোশাক কর্মী করোনার পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। এরমধ্যে যাচাই বাছাই করে ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সাভারের প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ল্যাবে।
এদের মধ্যে আটজন তৈরি পোশাক শ্রমিকের মধ্যে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। যাদের একজন ধামরাইয়ের বাসিন্দা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সাভারে আক্রান্ত হওয়া আটজনের মধ্যে সাতজন শ্রমিক কাজ করেন উলাইল এলাকার পৃথক তিনটি তৈরি পোশাক কারখানায়। কারখানা তো নতুন করে খুলেছে। শ্রমিকরা আক্রান্ত হওয়ায় এই তিনটি কারখানা লকডাউন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর মেলেনি।
আল-মামুন/এমএএস/জেআইএম