অনিয়ম-দুর্নীতি : খুলনার ৫ ডিলারের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে খুলনা মহানগরীর পাঁচ ওএমএস ডিলারের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান।
গত ৫ মে স্বাক্ষরিত এক পত্রে তিনি এ সুপারিশ করেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে দেয়া ওই পত্রে সুলতানা এন্টারপ্রাইজ, এসএম এন্টারপ্রাইজ, রুবেল স্টোর, নির্মাণ এন্টারপ্রাইজ ও জোহরা এন্টারপ্রাইজ নামের পাঁচটি ওএমএস ডিলারের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
পত্রে বলা হয়, ওএমএস ডিলার সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাটের বিরুদ্ধে ওএমএস পণ্য বিক্রির অনিয়মের প্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে এ সুপারিশ করা হয়।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুফ আলী।
এতে সদস্য ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ, দুর্নীতি দমন কমিশন, খুলনার উপপরিচালক নাজমুল হাসান, খুলনা প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি সুনীল দাস এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর আলম।
কয়েকদিন ধরে তদন্ত শেষে ৩০ এপ্রিল ওই কমিটি জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। যার আলোকে ৫ মে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ সুপারিশমালা দেন।
সুপারিশমালায় পাঁচ ডিলারের লাইসেন্স বাতিল ছাড়াও নির্মাণ এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুসন্ধান ও তদন্তের এবং সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাটের সুলাতানা এন্টারপ্রাইজ, সম্রাটের ছোট ভাই এম ওয়াহিদুজ্জামানের এসএম এন্টারপ্রাইজ ও রুবেল স্টোরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া খুলনা মহানগরীতে ওএমএসের যেসব ডিলার রয়েছেন তাদের সুনির্দিষ্ট দোকান, গুদামের সক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে যাচাইপূর্বক এক মাসের মধ্যে জেলা প্রশাসককে জানানোর জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে অনুরোধ করা হয়। সেইসঙ্গে পাঁচ ডিলারের লাইসেন্স বাতিলপূর্বক খুলনা মহানগরীতে আরও যেসব ওএমএসের ডিলার রয়েছেন তাদের সুনির্দিষ্ট দোকান, গুদামের সক্ষমতা যাচাইপূর্বক আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়।
খুলনা বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, তদন্তের প্রতিবেদন এখনও হাতে এসে পৌঁছায়নি। প্রতিবেদন হাতে পেলে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আলমগীর হান্নান/এএম/পিআর