করোনায় মারা যাওয়া পল্লী চিকিৎসকের দাফন সম্পন্ন, ছিল পরিবারও
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সিলেটের বিয়ানীবাজারের তিলপাড়া ইউনিয়নের দুইবারের সাবেক সদস্য (মেম্বার) ও পল্লী চিকিৎসক আবুল কাশেমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের মাটিজুরার টুকা-মালোপাড়া এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে আবুল কাশেমের দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বিকেল ৪টা থেকে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় আবুল কাশেমের মরদেহ গোসল, জানাজা ও দাফন কার্য সম্পন্ন করে কওমী ও আলিয়া মাদরাসাপড়ুয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল। এ সময় দাফন কাজে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আজাদ ও বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আজাদ জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবুল কাশেম মারা যাওয়ার কারণে তার পরিবারের কোনো সদস্য বা এলাকাবাসীকে মরদেহ দাফনের জন্য আসতে দেয়া হয়নি। লাশ দাফনের পর তার কবরে মাটি দেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, এর আগে গত বুধবার (২০ মে) রাত দেড়টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুল ইসলাম পল্লী চিকিৎসক কাশেমের মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বুধবার রাত ১০টার দিকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দীন হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া আবুল কাশেমকে। পরে সেখানে ভর্তি হওয়ার ঘণ্টা দুয়েক পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি বলেন, গত ১৯ মে আবুল কাশেমের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার টিকরবাড়ি গ্রামের প্রথম করোনা রোগীর সংস্পর্শে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, নিহত আবুল কাশেমের পরিবারের ৫ সদস্যসহ ৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আবুল কাশেম বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের সাবেক সদস্য। একই ইউনিয়নের মাটিজুরা টুকা-মালোপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। আবুল কাশেম পার্শ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের আছিরগঞ্জ বাজারের একজন পল্লী চিকিৎসক এবং সেখানে তার ফার্মেসি সংলগ্ন একটি ভবনে বাসা ভাড়া নিয়ে সপরিবারে বসবাস করতেন। আবুল কাশেম বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার ঐক্য কল্যাণ সোসাইটি গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
ছামির মাহমুদ/এমএএস/বিএ