করোনা থেকে ১০ দিনে সুস্থ কাউন্সিলর আজাদ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে গেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের টানা চারবারের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ।
বুধবার (০৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় চলে যান তিনি। কাউন্সিলর আজাদকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র।
তিনি বলেন, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ এখন সুস্থ। পরপর দুবার তার করোনা টেস্টের ফল নেগেটিভ আসায় তাকে সুস্থ ঘোষণা করেছি। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ছাড়পত্র পেয়ে বাসায় ফেরার সময় কাউন্সিলর আজাদ বলেন, আমি সিলেটবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমার জন্য দোয়া করেছেন। আমি আবারও আপনাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করব। এ সময় তিনি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ আরও বলেন, আমার ধারণা দেশের করোনা হাসপাতালগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। এই হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সরা সার্বক্ষণিক রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। আমি চিকিৎসাধীন থাকাকালীন প্রতিনিয়ত আমার খোঁজখবর রেখেছেন। তাদের সেবায়ই আমি সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছি। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৪ জন। করোনাজয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩২২ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৪২ জন।
গত ২৪ মে আজাদের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রথম দিকে তার শারীরিক অবস্থা ভালো থাকায় বাসায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। ২৮ মে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
টানা চারবারের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ করোনাকালে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতার মাধ্যমে সর্বমহলে প্রশংসিত হন। তার স্ত্রী যুক্তরাজ্যের কাউন্সিলর নাজমা রহমান। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে করোনার শুরু থেকে মানুষের জন্য কাজ করছেন আজাদ। গভীর রাতে খাদ্য সহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের দরজায় ছুটে গেছেন তারা। তাদের মানবিক তৎপরতায় অসংখ্য খেটেখাওয়া মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার একদিন আগেও নিজের এলাকায় গরু জবাই করে দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করেছেন কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। এছাড়া যারা গরুর মাংস খান না- তাদের মধ্যে মোরগ বিতরণ করেন তিনি। করোনার শুরু থেকে মানুষের পাশে থাকার কোনো একসময় তিনি সংক্রমিত হন।
ছামির মাহমুদ/এএম/এমকেএইচ