অসুস্থ হওয়ার আগেই করোনার প্রত্যয়নপত্র কিনলেন ২ গার্মেন্টসকর্মী
পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই করোনাভাইরাসের প্রত্যয়নপত্র বিক্রি করছিলেন সাঈদ মিয়া নামে এক যুবক। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদার স্বাক্ষর ও সিল জাল করে করোনা পরীক্ষার ভুয়া প্রত্যয়নপত্র বিক্রি করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় সাঈদ মিয়া ও তার সহযোগীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) বিকেলে এক সহযোগীসহ সাঈদ মিয়াকে আটকের পর সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা ব্যক্তিদের যদি করোনা নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া যায়, তাহলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে করোনা নেগেটিভের প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি এক পোশাক কারখানার দুই শ্রমিক তাদের কর্মস্থলে করোনা নেগেটিভের প্রত্যয়নপত্র জমা দেয়। পরে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিষয়টি যাচাই করতে যোগাযোগ করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা নেয়া রোগীদের নামের তালিকায় ওই দুইজনের নাম খুঁজে না পেয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই দুই শ্রমিককে আটক করে।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায় সাভারের পশ্চিম ব্যাংক টাউন এলাকার বাসিন্দা সাঈদ মিয়ার কাছ থেকে ভুয়া প্রত্যয়ণপত্র কিনে কারখানায় জমা দেয়।
এরপর সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা ও ডা. নাজমুল হুদা মিঠু কৌশলে সাঈদকে হাসপাতালে ডেকে আনেন। এ সময় সাঈদ ও তার সহযোগী হাসপাতালে এলে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আল-মামুন/এএম/পিআর