ধামরাই লকডাউন হচ্ছে না
ঢাকার ধামরাই পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন রেড জোন ঘোষণার পর ২০ জুন থেকে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে মাইকিং করেছিল উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু সিভিল সার্জনের লিখিত অনুমতি না থাকায় শুক্রবার (১৯ জুন) রাত ১০টায় তা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে শনিবার (২০ জুন) থেকে শুরু হওয়া ধামরাই পৌরসভা ও উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ঘোষণাকৃত লকডাউন হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধামরাইয়ে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন গত ১৬ জুন ধামরাই পৌরসভা, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে আমতা, সানোড়া, সূতিপাড়া, সোমভাগ, ধামরাই সদর ও ভাড়ারিয়াসহ ছয়টি ইউনিয়নকে রেড জোন ঘোষণা করেন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন।
পরে ১৭ জুন বিকেলে ধামরাই উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় ধামরাই পৌরসভা ও উপজেলার কালামপুর, বাথুলি, শ্রীরামপুর, কাকরান, তেতুলিয়া বাজার ও সেনাইল গ্রাম ২০ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। লকডাউন চলাকালে ওষুধের দোকান ছাড়া সকল দোকানপাট এবং যানবাহন বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ঢাকা জেলা সিভিল সার্জনের কোনো লিখিত অনুমতি না নিয়েই প্রশাসন থেকে ১৮ ও ১৯ জুলাই কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। এরপর গত দুইদিন ওই এলাকার বাজারগুলোতে মানুষের কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সামিউল হক বলেন, রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু সরকারিভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত না থাকায় স্থগিত করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মইনুল আহসান বলেন, লকডাউন দিতে হলে আমার লিখিত অনুমতি লাগবে। আমি কোনো লিখিত অনুমতি দেইনি। এ ছাড়াও লকডাউন করতে হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সিভিল সার্জন লিখিত আকারে অনুমতি দিলেই লকডাউনের ঘোষণা দিতে পারে স্থানীয় প্রশাসন। ধামরাই রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে, কিন্তু লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
আরএআর/এমএস