খুলনায় করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু, উপসর্গ নিয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু
খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী করোনা হাসপাতালে, উপসর্গ নিয়ে দুইজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে, বাকি দুইজন নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে খুলনার করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গণেশ চন্দ্র বণিক (৫৩) নামে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি মহানগরীর বড় মির্জাপুর এলাকার মৃত চিত্তরঞ্জন বণিকের ছেলে।
গতকাল শুক্রবার রাত ৭টা ১৫ মিনিটে গণেশ চন্দ্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সকালে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে খুলনায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডের ফোকাল পার্সন ডা. মিজানুর রহমান জানান, শনিবার করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, খালিশপুর থানাধীন নিউজপ্রিন্ট মিল এলাকার শাহাদতের স্ত্রী আলেয়া (৪০) ও নগরীর কালিবাড়ী এলাকার বসু দেবের ছেলে শেখর রায়।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার রাত ৭টায় পেটে ব্যথা নিয়ে সার্জারি ৯/১০ ওয়ার্ডে ভর্তি হন আলেয়া। পরে শ্বাসকষ্ট হলে রাতেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ১০টায় তার মৃত্যু হয়। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এছাড়া শেখর রায় শনিবার দুপুর আড়াইটায় গুরুতর অসুস্থাবস্থায় খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩টার দিকে মারা যান। এর আগে তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
এদিকে খুলনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নগর বিএনপি নেতা মো. রফিকুজ্জামান বাবলু। তিনি শুক্রবার রাত ১১.৫৫ মিনিটে নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১২ জুন থেকে জ্বর, সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন এবং বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শনিবার সকালে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু নিশ্চিত করেছেন।
আরেকজন খুমেক হাসপাতালের সাপ্লাইয়ার্স রাজ্জাক। তিনি শনিবার সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ফুলবাড়িগেটস্থ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আলমগীর হান্নান/এমএএস/জেআইএম