করোনা নেগেটিভ জেনেও হাসপাতালে লাশ রেখে পালালেন স্বজনরা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে হাবিবুর রহমান নামের আরও একজনের মরদেহ ফেলে পালিয়ে গেছেন স্বজনরা। রোববার (০৫ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে রামেক হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি মারা যান। তার মরদেহ সেখানে ফেলে উধাও হন স্বজনরা। মৃত হাবিবুর রহমান রাজশাহীর চারঘাটের মোয়াজ আলীর ছেলে।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হন হাবিবুর রহমান। এরপর তাকে করোনা পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ড ২৯ নম্বরে রাখা হয়। নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ আসে। তারপরও স্বজনরা মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার স্বজনরা ছিলেন। তবে মৃত্যুর পর তারা মরদেহ ফেলে চলে যান। বিষয়টি পুুলিশকে জানানো হয়েছে। স্বজনরা মরদেহ না নিলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করবে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান করোনা আক্রান্ত আজাদ আলী (৩০)। তিনি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার জামগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তার মরদেহ ফেলে উধাও হন সঙ্গে থাকা স্বজনরা। পরে মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের উদ্যোগ নেয় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/এমকেএইচ