রংপুর করোনা হাসপাতালে রেকর্ড সুস্থ ২০৩ জন
রংপুরের ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে আরও ১০ জন বাড়ি ফিরেছেন। শুক্রবার ও শনিবার (১০ ও ১১ জুলাই) এই দুইদিনে ১০ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
ছাড়পত্রপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহমুদা আক্তার (৪২), রংপুরের ব্যবসায়ী মহসিন বালি (৩৮), রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্য মানিক কুমার রায় (৩৮), রংপুর শহরের বাসিন্দা শেখ নিয়াজ আহমেদ (৬০), মিঠাপুকুরের শাহীন প্রধান (৫৫), বদরগঞ্জের মোজাম্মেল (৭৫), লালমনিরহাটের দোলন চন্দ্র (৫২), নীলফামারীর মানিক রায় (৪৭) এবং গাইবান্ধার সহিদুল ইসলাম (৪০) ও মিলন (৩২)। বিদায় নেয়ার সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ চিকিৎসকরা তাদের ফুল ও চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ নিয়ে ২০৩ জন এই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরলেন।
ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস.এম নূরুন নবী বলেন, নিয়াজ ও মানিক রায় গত ২৮ জুন, মহসিন ২৯ জুন, সহিদুল ৩০ জুন, মানিক কুমার ও ডা. মাহমুদা ৩ জুলাই, শাহীন ও মিলন ৪ জুলাই, দোলন চন্দ্র ৫ জুলাই এবং মোজাম্মেল ৮ জুলাই করোনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে মহসিন বালির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই ১০ জনের শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকায় এবং নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। হাসপাতাল চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৫৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ২০৩ জন এই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা গেছেন ১৪ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ৩৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। এই হাসপাতালে সুস্থতার হার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এজন্য তিনি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
জিতু কবীর/এএম/এমকেএইচ