খুলনায় নতুন আলু-টমেটোর দাম আকাশছোঁয়া
খুলনার বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। হাতেগোনা দুই-একটি সবজি ছাড়া প্রায় সব সবজিই ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। তবে গত তিন-চার দিন ধরে বাজারে আসা নতুন আলুর দাম আকাশছোঁয়া।
এছাড়া সয়াবিন তেলের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে এবং দেশি পেঁয়াজের দাম রয়েছে আগের মতোই।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি, সিম, বরবটি, বাঁধাকপি, বিটকপি, লাউ মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। তবে টমেটো ৬০-৮০ এবং গাজর ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর বড় বাজারের খুচরা বিক্রেতা গোলাম রসুল জানান, শীতের সবজির সরবরাহ গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ কারণে কমেছে দাম।
তিনি বলেন, একেবারে নতুন পণ্য হিসেবে উঠেছে নতুন আলু। দাম একটু দাম বেশি হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে বেশ।
একই বাজারের বিক্রেতা হায়দার আলী জানান, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ফলে বাজারে ক্রেতা কমেছে। শীতের সবজির সরবরাহ দিন দিন বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
বড় বাজারে সবজি কিনতে আসা গৃহবধূ সেলিনা জাহান জানান, শীতের সবজি আমদানি বেশি দেখে খুব ভালো লাগছে। দামও অনেক কম। ফলে কোনটা রেখে কোনটা নেব তা ঠিক করা মুশকিল হয়ে গেছে।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা আইয়ুব হোসেন জানান, সপ্তাহখানেক আগেও চড়া দাম দিয়ে পাইকারি মূল্যে সবজি কিনতে হয়েছে। কিন্তু এখন দাম অনেক কমেছে। বাজারের এখনও সবচেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। কয়েকদিন আগেও এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। এখনও এর দাম ১০০ টাকার নিচে আসেনি।
এদিকে দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর টিসিবির ট্রাক সেলে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আবার খুচরা বাজারে বেড়েই চলেছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। বোতলজাত সয়াবিনের দরও বেড়েছে।
খুলনার বড় বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে পাঁচ-সাত টাকা বেড়ে খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা কেজিতে। এছাড়াও সব ধরনের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে।
আলমগীর হান্নান/এসএমএম/জেআইএম