টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের দুঃখ খানাখন্দ

তিন চাকার অটো, লক্কর-ঝক্কর গাড়ি ও খানাখন্দে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে। এতে করে হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। শৃঙ্খলা ফেরাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সড়কটির বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। অথচ তাদের সামনে দিয়েই চলাচল করছে তিন চাকার অটো আর লক্কর-ঝক্কর সব যানবাহন। শুধু তাই নয় ব্যস্ততম সড়কটির বাইপাইল পয়েন্টে তৈরি হয়েছে পরিবহন স্ট্যান্ড।
এছাড়াও সড়কের দুপাশে অবৈধ পার্কিং আর ফুটপাত দখলের মহোৎসব চলছে। কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে রকমারি বাজার সবই মিলছে ফুটপাতে। স্থানীয় প্রভাবশালী আর প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে তাদের বাণিজ্য।
সাভার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) খসরু পারভেজ বলেন, আপনার কী মনে হয়? আপনার যেটা মনে হয় সেটাই ঠিক। বিষয়গুলো কীভাবে সরানো যায় সেগুলো নিয়ে লিখুন। সিনিয়ররা বুঝতে চায় না।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার ইমাম হাসান ভূঁইয়া বলেন, শত শত অবৈধ যান সড়কে ছেড়ে ৪-৫ জন পুলিশ দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে প্রয়োজন সমন্বয়ের।
সড়কের দায়িত্বে থাকা প্রজেক্ট ম্যানেজার সাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা রাস্তাটি দুরবস্থায় পেয়েছি। রাস্তাটি চার লেনের হবে। এখন রাস্তা যেমন আছে এর মধ্যে মোটামুটি রাস্তাটা ঠিক ঠাক করে রাখবো কিছু দিন। কারণ আমাদের তো আবার এক্সপ্রেসওয়ের পিলার করতে হবে রাস্তার মাঝখান দিয়ে। এ পিলার গুলো করা আগের রাস্তার দুই সাইড দিয়ে ঠিক করে নিবো যেনো গাড়ি চলাচলে সমস্যা না হয়।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী হাসিনুর রহমান বলেন, রাবিশ দিয়ে সড়ক নষ্ট করলেন তারা। পানি জমলে হবে কাঁদা আর শুকালে হবে ধুলাবালি। এটা একেবারে অযৌক্তিক। এসব দিয়ে কখনোই খানাখন্দ বন্ধ করা যায় না।
আরএইচ/এমএস