মধুমাসে ফলের গন্ধে ম ম করছে খুলনার বাজার
অডিও শুনুন
আম, জাম, কাঁঠাল, জামরুল ও লিচুর মিষ্টি গন্ধে ম ম করছে খুলনার বাজারগুলো। আছে আর এক রসালো ফল তালও। ফলন একটু কম হলেও আবহাওয়ার কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ায় ফলের অধিক সরবরাহ মনে করিয়ে দিচ্ছে এখন চলছে জ্যৈষ্ঠ মাস। যাকে মধুমাস বলেই চেনে বাঙালিরা। দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকায় সামর্থ্য অনুযায়ী ফল কিনছেন খুলনাবাসী।
শনিবার (২৮ মে) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আড়তগুলো রসালো ফরে ভরে গেছে। বাজার জমে উঠেছে কেনা-কাটায়। এবার হিমসাগর আম আর দিনাজপুর, রাজশাহীর লিচু দখল করেছে ফলের বাজার।
নগরীর সন্ধ্যা বাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী আলামিন, রাশেদ ও হোসেন বলেন, গতবারের তুলনায় এবার মৌসুমি ফলের ফলন একটু কম। তবে বাজারে ফল আসতে শুরু করেছে। অনেকেই তরমুজে ধরা খেয়েছেন। তাই সবেমাত্র বাজারে আসতে থাকা আম, লিচু, কাঁঠাল তাল, জাম ও জামরুল দিয়ে ক্ষতি একটু হলেও পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
খুলনা মহানগরীর ফলের সবচেয়ে বড় বাজার ডাকবাংলা মোড়ের খুচরা বিক্রেতারা জানান, দোকানে প্রতি কেজি গোবিন্দভোগ আম ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হিমসাগরও ওই দামেই বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে যশোরের ১০০ লিচু ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি করছেন। জাম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া জামরুল ৪০ থেকে ৬০ টাকা, সাইজ অনুযায়ী প্রতিটি কাঁঠাল ৬০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
টুটপাড়া জোড়াকল বাজারে আম কিনতে আসা হুমায়রা বানু বলেন, ‘আম এখনো তেমন পাকেনি। তবুও আমগুলো হলুদ হয়ে আছে। এ আমের উপরের অংশ মিষ্টি হলেও ভেতরে এখনও টকভাব রয়ে গেছে। কিন্তু খেতে তো হবে। তাই কয়েক কেজি আম কিনেছি।’
বাজারের তাল বিক্রেতা জামাল বলেন, তিনি প্রতি পিস তাল কিনেছেন ৩ থেকে ৬ টাকা দরে। বিক্রি করছেন ৫ থেকে ১০ টাকা দরে।
শুধু বাজারগুলোতেই নয়, মৌসুমের সুমিষ্ট ফলগুলো মিলছে খুলনার অলিগলিতেও। বিভিন্ন ফলের ঝুড়ি সাজিয়ে বসেছেন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা।
এদিকে নগরীতে ফলের দাম বাড়তি থাকলেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে গ্রামের হাট বাজারগুলোতে। নানা জাতের আমের মধ্যে তারা বিক্রি করছেন হিমসাগর আর গোবিন্দভোগ।
জেলার বাটিয়াঘাটা উপজেলার কৈয়া বাজারের আম বিক্রেতা কুদরত মিয়া বলেন, আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আম সংগ্রহ করি। সেই আম আমরা খুচরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করি। এতে সামান্য লাভ থাকে। তা দিয়েই সংসার চলছে। আমাদের কাছ থেকে অনেকেই আম কিনে শহরে চড়া দামে বিক্রি করে।
কৈয়া বাজারে আম কিনতে আসা মিলন হোসেন বলেন, এখানে আমের দাম শহরের তুলনায় একটু কম। তাই তিনি নিজের ও আত্মীয় স্বজনদের জন্য এখান থেকে বেশকিছু আম কিনেছেন।
আলমগীর হান্নান/এসজে/এমএস