সিলেটে বৃষ্টির বাগড়ায় ভোটার উপস্থিতি কম

সিলেটে সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম। বিভিন্ন কেন্দ্র পর্যালোচনায় দুপুর ২টা পর্যন্ত ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানা যায়। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিকেলের দিকে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের রানাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভোট কেন্দ্রে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি কম। ছাতা হাতে হঠাৎ দু-একজন আসছেন। প্রথম দুই ঘণ্টায় এ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ৩০-৩৫টি। মোট ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৫৭৫ জন।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূইয়া জাগো নিউজকে বলেন, বৃষ্টি থাকার কারণে ভোটার উপস্থিতি নেই। বৃষ্টি কমলে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে পারে। ভোটার কম থাকায় আমরা অলস সময় পার করছি।
দুপুর সাড়ে ১২টায় ইউনিয়নের কালিদাস পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এখানেও ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ৮০ জন ভোট দিয়েছেন। ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার আছেন ১ হাজার ৫২৩ জন।
এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ছালেহ আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, সকালে কিছু ভোটার ছিল। কিন্তু ১০টার দিকে বৃষ্টি হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কমে যায়।
এদিকে, প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলছে। টানা বৃষ্টির কারণে বিয়ানীবাজার পৌরসভা এলাকায় ১০টি কেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি কম।
বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি নেই বললে চলে। বেশিরভাগ কেন্দ্রই ফাঁকা দেখা যায়।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকায় মোট ভোটার ২৭ হাজার ৭৯০ জন ১০টি কেন্দ্রে স্থাপিত ৮০টি বুথে ভোট দিচ্ছেন। ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৮৭০ জন এবং নারী ভোটার ১৩ হাজার ৯২০ জন।
বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ৮০টি ইভিএমের পরিবর্তে ১২০টি সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া কারিগরি ত্রুটি সারাতে তিনটি টিম নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছে।
নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় চার স্তরের নিরাপত্তা দিয়ে পুরো নির্বাচনী এলাকা সাজানো হয়েছে।
ছামির মাহমুদ/এসজে/জেআইএম