শিক্ষক উৎপল কুমার হত্যার ঘটনায় ছাত্রীও বহিষ্কার

শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যার ঘটনায় সাভারের আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ঘাতক জিতুকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
শুক্রবার (১ জুলাই) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই শনিবার (২ জুলাই) সকাল থেকে ক্লাসে ফেরে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরইমধ্যে পুলিশ ও র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত জিতুসহ তার বাবা। তারা দুজনই বর্তমানে পুলিশি রিমান্ডে রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে শনিবার সকাল থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক দিনের মতোই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কিছুটা কম রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ জিতুকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে। একই সঙ্গে র্যাবের তদন্তে এক ছাত্রীর নাম আসায় তাকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ তার আশপাশের এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দেখা গেছে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলতে।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির বলেন, শিক্ষার্থীদের মনোবল বাড়াতেই পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আশপাশের কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এদিকে রোববার (৩ জুলাই) থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ১৬ জুলাই থেকে স্কুলের সব কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে।
২৫ জুন আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত করে কলেজ শাখার শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে। পরে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হলে সোমবার (২৭ জুলাই) ভোরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মাহফুজুর রহমান নিপু/এসজে/এএসএম