বরিশাল নদীবন্দরের ৩ শুল্ক আদায়কারী বরখাস্ত

বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রীদের প্রবেশ টিকিট ছিঁড়ে না ফেলে পুনরায় বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে বিআইডব্লিউটিএর তিন শুল্ক আদায়কারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তাকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে।
রোববার (৩ জুলাই) বিকেলে বিআইডব্লিউটিএর বন্দর ও পরিবহন শাখার পরিচালক কাজী ওয়াকিল নওয়াজ তিন শুল্ক আদায়কারীকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও যাত্রীদের প্রবেশ টিকিট ছিঁড়ে না ফেলে সংরক্ষণের অভিযোগ ওঠায় গত ২ জুলাই কর্তৃপক্ষ তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
অভিযুক্তরা হলেন- বরিশাল নদীবন্দরে শুল্ক আদায়কারী ফারুক সরদার, মাসুদ হোসেন খান ও মনির হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২৭ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল বরিশাল নদীবন্দরে অভিযান চালায়। দুই নম্বর প্রবেশ কাউন্টারের ড্রয়ার ও ঝুলিয়ে রাখা ব্যাগ থেকে যাত্রীদের কাছে বিক্রিত ৮৬৩টি টিকিট উদ্ধার হয়। এছাড়া ড্রয়ার থেকে প্রবেশ টিকিট বিক্রির টাকা ছাড়াও আরও আট হাজার টাকা পাওয়া যায়। টিকিট ছিঁড়ে না ফেলে পুনরায় বিক্রি করে ওই টাকা আত্মসাতচেষ্টার অভিযোগ ওঠে শুল্ক আদায়কারী ফারুক সরদার, মাসুদ হোসেন খান ও মনির হোসেন বিরুদ্ধে। বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে ওই তিন শুল্ক আদায়কারী কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সূত্র আরও জানায়, যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগে আরও ৮-১০ জন শুল্ক আদায়কারী ও শুল্ক প্রহরীকে অনত্র বদলি করা হচ্ছে। দু’এক দিনের মধ্যে এ ধরনের আদেশ দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও তদারকির দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় বরিশাল কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ঢাকার সদরঘাটে বদলি করা হয়েছে। খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাককে বরিশালে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদ্য বদলি হওয়া বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, তিন শুল্ক আদায়কারীকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তাকে বদলির বিষয়টিও তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তবে এ সংক্রান্ত কোনো আদেশের কপি তিনি পাননি। এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সাইফ আমীন/আরএইচ/জেআইএম