ময়মনসিংহে সম্মেলন
নৌকার আদলে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর। ছয় বছর পর ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলনকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা। পদপ্রত্যাশী নেতা ও সমর্থকদের প্যানা, পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে নগরী।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া, নতুন বাজার, টাউন হল, মাসকান্দা, গাঙ্গিনারপাড়, পাটগোদাম ব্রিজ মোড়, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, জেলা স্কুল মোড়, বাইপাস, কাঁচিঝুলি মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, পদপ্রত্যাশী নেতা ও তাদের সমর্থকদের প্যানা পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী।
সম্মেলনের দিন ঘনিয়ে আসায় নগরের বিভিন্ন সড়কে বাঁশের খুঁটি গেড়ে নেতাদের নামে ব্লক দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সড়কে অনেক তোরণ নির্মাণের কাজ চলছে। নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন।
এ উপলক্ষে নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে বিশাল আকৃতির নৌকায় তৈরি করা হচ্ছে সুসজ্জিত প্যান্ডেল। বর্তমান কমিটির নেতাদের প্রত্যাশা সম্মেলনে দুই লাখ লোকের সমাগম হবে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এর আগে ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর সম্মেলন করে সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের পর সভাপতির দায়িত্ব পান অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা। সাধারণ সম্পাদক হন অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় জেলা আওয়ামী লীগের।
এরই মধ্যে ত্রি-বার্ষিক কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। জেলা কমিটির অধীনে থাকা ১৩টি উপজেলার মধ্যে গত কয়েক মাসে ৯টির সম্মেলন করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাকি রয়েছে সদর উপজেলা, ফুলপুর, ভালুকা ও নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রান্তিক পর্যায়ে দলের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টা মোকাবিলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল আলম বলেন, এরই মধ্যে ২১টি ওয়ার্ডের সম্মেলন হয়েছে। ১২টি কমিটি দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলোও দেওয়া হবে। অন্য ওয়ার্ডগুলো জেলা আওয়ামী লীগ থেকে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এসময়ের মধ্যে সেগুলোতে সম্মেলন করা কঠিন হয়ে যাবে। তবে যারা ত্যাগী, দীর্ঘদিন দলের রাজনীতি করেছেন, এমন নেতারাই নেতৃত্বে আসুক- এটাই আমার প্রত্যাশা।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, সম্মেলনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর দলকে সংগঠিত করতে সঠিকভাবে কাজ করেছি। নেত্রী যেখানে রাখতে চান, আমি সেখানেই থাকবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক বলেন, সম্মেলনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগকে সম্মেলনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। আমরা আশাবাদী প্রকৃত ত্যাগীরাই নেতৃত্বে আসবে।
মঞ্জুরুল ইসলাম/জেএস/জিকেএস