সিলেটের সবজি বাজারে ফিরেছে ‘কিছুটা’ স্বস্তি
সিলেটের বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫-৭ টাকা। হালিতে দুই টাকা কমেছে লাল মুরগীর ডিমের দাম। মাছ ও মাংসের বাজারও স্থিতিশীল রয়েছে। এক কথায় বলা যায় সিলেটের সবজির বাজারে দীর্ঘদিন পর হলেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সিলেটের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, চালের দাম কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন তা ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
নগরের নবাব রোড এরাকার বাসিন্দা তালেব হোসেন বলেন, গত সপ্তাহেও ভ্রাম্যমাণ ভ্যান থেকে পেঁয়াজ কিনেছি ৪৫ টাকায়। আজ সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৮ টাকায়। একই পেঁয়াজ মুদি দোকানে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বাজারে আসা কুলসুমা বেগম নামের এক গৃহিণী জাগো নিউজকে বলেন, শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহ বেশি থাকায় দামটাও একটু কম আছে।
সরেজমিনে সিলেটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে শীতের শাক-সবজি আসায় দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যে রয়েছে। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি নগরের বাজারে এখন মুলাশাক, লাউ শাক, শর্ষের শাক, লালশাক, লাউ, লাউয়ের পাতা ও ডগা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, বেগুনসহ শীতকালীন সবজিতে প্রতিটি দোকান সাজানো রয়েছে। তবে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে টমেটো। টমেটোর বাজার এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি লাল শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। সবুজ শিম (গোয়াল গাদা) বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। টমোটো গত সপ্তাহেও ৯০-১০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। আজও একই দরে বিক্রি হচ্ছে টমেটো।
এদিকে, বাঁধাকপির কেজি ২৫ টাকা, নতুন ফুলকপি প্রতি কেজি ৪০-৫০, মুলা ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের প্রতিটি লাউ ৪০, সব ধরনের শাকের আটি পাঁচ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যাবধানে নতুন আলুর দাম নেমেছে প্রায় অর্ধেকে। গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি নতুন আলু ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হলেও শনিবার বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকায়। পুরনো আলু ২৩-২৮ টাকা।
সবজি বিক্রেতা মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে। নতুন সবজির চাহিদাও বেশি। তাই বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে।
ছামির মাহমুদ/এএইচ/জেআইএম