আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে চলবে ৫৪ স্পিডবোট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৮:৩২ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চারমাস পর আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে স্পিডবোট সেবা চালু হয়েছে। ৫৪টি স্পিডবোট দিয়ে এ সেবা কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে স্পিডবোট সার্ভিসের উদ্বোধন করেন বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (পোর্ট) এ কে এম আরিফ উদ্দিন।

এ সময় তিনি জানান, আপাতত পাবনার কাজিরহাট ঘাটে ৪৩ ও মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটের ১১টি স্পিডবোট রুট পারমিট পেয়েছে। যাত্রী ভোগান্তি বিবেচনায় আপাতত এগুলো দিয়ে দ্রুতগতির এ সেবা চলবে। তবে আরও ৫০টি বোটের রুট পারমিটের আবেদন রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষে বাকিগুলো চলাচলের অনুমতি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

স্থানীয়রা জানায়, ২০১৬ সালের দিকে কাজীরহাট-আরিচা নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরির পাশাপাশি স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়। ১৩ কিলোমিটার দূরত্বের এ নৌপথে ৪টি ফেরি ও ৯টি লঞ্চ চলাচল করে। এর সঙ্গে ১২ ও ১৮ সিটের প্রায় একশত স্পিডবোট চলতো দুইপাড়ে (আরিচা ও কাজিরহাট)। এতে করে এক ঘণ্টারও বেশি সময়ের জলপথ পাড়ি দেওয়া যেতো ১৫-২০ মিনিটে।

যাত্রী জাহিদ হাসান নামের এক যাত্রী জানান, ঢাকার সঙ্গে এ রুটে দূরত্ব কম। সময় আরও বাঁচিয়ে দিতো স্পিডবোট। এ কয়মাস এ সেবা না থাকায় সময় ও ভোগান্তি উভয়ই বেড়ে গিয়েছিল।

আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে চলবে ৫৪ স্পিডবোট

কাজিরহাট ঘাটের স্পিডবোট ব্যবসায়ী ফেরদৌস হোসেন বলেন, বিগত সরকারের সময় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতারা অবৈধভাবে স্পিডবোট ঘাট পরিচালনা করেছে। যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নিয়েছে। এ রুটে যেখানে ২০-২৫ টি স্পিডবোট চালানো যথেষ্ট। সেখানে তারা ৮০টি স্পিডবোট চালাত। বড় একটা স্পিডবোটে ১৬ জন ধারণক্ষমতা, সেখানে তারা বেশি টাকার আশায় ২১ জন বহন করতো।

এ ব্যাপারে বিআইডাব্লিউটিএর নগরবাড়ি-কাজিরহাট-নরাদহ নদীবন্দরের পোর্ট অফিসার মো. আব্দুল ওয়াকিল বলেন, পূর্বে যে সব মালিক স্পিডবোট পরিচালনা করতেন, বন্ধ থাকার এ সময়টাতে তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা বোট চালু করতে পারেননি। ফলে তাদের রুট পারমিট বাতিল করে প্রক্রিয়া মেনে অন্যদের রুট পারমিট দেওয়া হয়েছে।

আলমগীর হোসাইন নাবিল/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।