আ’লীগ নেতার ঘেরের মাছ লুটের অভিযোগ দুই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরিশাল
প্রকাশিত: ০৮:১৫ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

দুই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতার ঘেরের মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েক লাখ টাকার মাছ লুট করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই দুই নেতা।

তারা হলেন রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম। রফিকুল বরিশাল জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক। আর শফিকুল বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। দুজনে সর্ম্পকে ভাই। এছাড়া তারা সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধার ভাতিজা। আর ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা আ. মন্নান মৃধা বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

আওয়ামী লীগ নেতা আ. মন্নান মৃধা অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্থানীয় বিএনপি নেতা করিম মৃধা ও তার দুই ছেলে রফিকুল এবং শফিকুলের নেতৃত্বে মাছের ঘেরে পাম্প লাগিয়ে পানি সেচে ও জাল টেনে কয়েক লাখ টাকার মাছ লুট করে নেয়। তিনি ওই ঘেরে চিংড়ি, রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙাশসহ বিভিন্ন জাতের চার লাখ টাকার মাছের পোনা ছেড়েছিলেন।

আ. মন্নান মৃধা আরও বলেন, একই ব্যক্তিরা দেড় মাস আগে সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের একতারহাট বাজারে তার মালিকানাধীন দোকানঘর দখল করে স্থানীয় ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি অফিস কার্যালয় স্থাপন করে।

এ প্রসঙ্গে আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, একতারহাট বাজারের দোকানঘরের সম্পত্তি তার এবং ঘেরের ওই সম্পত্তি তার ভাই করিম মৃধা এবং করিমের শ্যালক খোকন মৃধার। আ. মন্নান জোর করে এতদিন সম্পত্তিগুলো দখল করে রেখেছিলেন।

উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বলেন, তারা আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে তাদের জমি উদ্ধার করেছেন। ঘের থেকে মাছ লুটপাটের জন্য নয়, পানি সেচে সেখানে ভরাট করাই মূল উদ্দেশ্য।

এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি, কিন্তু এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে ঢাকা থেকে একজন ফোন করে তার ঘের দখল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। পরে তাকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাওন খান/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।