করোনা কেড়ে নিয়েছে মুকেশ আম্বানির ২৮ শতাংশ সম্পত্তি
অডিও শুনুন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে টালমাটাল। করোনার জেরে বিশ্ব শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। আর এর প্রভাব পড়ছে ধনকুবেরদের পকেটে। করোনার জেরে তাদের সম্পত্তি কমতে শুরু করেছে।
হুরুন গ্লোবাল লিস্ট-এর এক প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ দুমাসে ২৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ ১৯ বিলিয়ন ডলার কমে যাওয়ায় বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তিনি আট নম্বর স্থান থেকে নেমে চলে এসেছেন ১৭ নম্বর স্থানে।
প্রতিবেদনে আরও বলছে, আরেক ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানিরও সম্পত্তির নিট পরিমাণ কমে গেছে ৩৭ শতাংশ। এইচসিএল টেকনোলজির শিব নাদার (২৬ শতাংশ) ও ব্যাঙ্কার উদয় কোটাকের (২৮ শতাংশ) সম্পত্তিও হ্রাস পেয়েছে।
এই তিনজনই বিশ্বের ধনী ব্যক্তির প্রথম ১০০ জনের তালিকা থেকে বাদ গেছেন। কেবলমাত্র মুকেশ আম্বানিই তালিকায় রয়েছেন একমাত্র ভারতীয় হিসেবে।
‘হুরুন রিপোর্ট ইন্ডিয়া'-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনিস রহমান জানাচ্ছেন, ভারতের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিরা এই ধাক্কা খেয়েছেন শেয়ার বাজার ২৬ শতাংশ ধস নামায় এবং মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য ৫.২ শতাংশ কমে যাওয়ায়।
করোনার কারণে সারা বিশ্বের নিরিখে শীর্ষস্থানীয় ধনীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে যাদের, তাদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। এক নম্বরে রয়েছেন ফরাসি ফ্যাশন জায়ান্ট বার্নার্ড আর্নল্ট। তার সম্পত্তি হ্রাস পেয়েছে ২৮ শতাংশ।
এই পরিস্থিতিতেও বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১৩১ বিলিয়ন ডলার। গত দুমাসে তার সম্পত্তি হ্রাসের পরিমাণ মাত্র ৯ শতাংশ। এরপরেই রয়েচেন বিল গেটস। তার সম্পত্তির পরিমাণ ৯১ বিলিয়ন ডলার। তার সম্পত্তি হ্রাসের পরিমাণ ১৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলছে, গত দুমাসে লাভের মুখ দেখেছেন চীনের ধনকুবেররা। এর মধ্যে রয়েছেন শূকরের মাংস উৎপাদনকারী সংস্থা কিংবা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের প্রোমোটাররাও। বিশ্বের প্রথম একশো ধনীর তালিকায় যেখানে ভারতের তিনজনের নাম বাদ চলে গেছে, সেখানে চীনের ছয়জনের নাম সেই তালিকায় সংযোজিত হয়েছে।
এসআর/জেআইএম